এদিকে কোভিড নাইনটিনের কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে জ্বালানি উত্তোলন কমানোর কথা থাকলেও তাতে রাজি হয়নি রাশিয়া। বিশ্বব্যাপী ১০ শতাংশ কমেছে জ্বালানি তেলের দর।
কোভিড নাইনটিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে মার্কিন শেয়ারবাজার। গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকে দরপতন হয়েছে ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত। দরপতন হয়েছে ব্রিটিশ শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সূচকে। একই অবস্থা এশিয়ার শেয়ারবাজারে। কমেছে বিভিন্ন টুরিজম কোম্পানির শেয়ারের দর। অবস্থা ভালো না ব্যাংক এবং জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলোর।
এদিকে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ধস নেমেছে বিশ্বরে এয়ারলাইন্স ব্যবসায়। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, চলতি বছর ৬ হাজার ৩শ’ থেকে ১১ হাজার ৩শ’ ডলার পর্যন্ত লোকসান গুণতে পারে বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো। বিমানে ভ্রমণ গেলো ১ দশকের মধ্যে এবছরই সবচেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছে আইএটিএ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
মহামারি এ ভাইরাসের কারণে অস্থিতিশীল অবস্থায় বিশ্বের জ্বালানির বাজার। দর স্থিতিশীল রাখতে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক, সৌদি আরব ও রাশিয়ার সমঝোতার মধ্য দিয়ে জ্বালানির উত্তোলন কমানোর কথা ছিল। কিন্তু চুক্তিতে পিছু হটে রাশিয়া। এ খবরের পর বিশ্ববাজারে আরও ১০ শতাংশ কমে জ্বালানির দর। এ নিয়ে চলতি বছর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমলো জ্বালানির দর।