• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো যে সিনেমার জন্য পরিচালককে বাড়ি বিক্রি করতে হয়, সেই ছবির শুটিংয়ে যা করেছিলেন শাবনূর এ নিয়ে মিমির সংসার সন্তানের অভিভাবকত্ব নেওয়ার গল্প বললেন পরীমনি ‘ফাটাকেষ্ট’ মিঠুনকে ছেড়ে চলে যায় মেয়েটি

রিফাত হত্যা: যেভাবে সাক্ষী থেকে আসামি হলেন মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে প্রথমে সাক্ষী করা হলেও মামলার তদন্তে গিয়ে আসামি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর মিন্নিকে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের মধ্যে ৭ নম্বর আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহনেওয়াজ শরীফ ওরফে রিফাত শরীফকে। ওই সময় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। কিন্তু হত্যাকারীদের ধারালো দা-এর আঘাতে গুরুতর হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিন বিকেলেই মারা যান রিফাত। রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে মিন্নির প্রশংসা করেন অনেকেই। এ ঘটনায় ২৭ জুন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ একটি হত্যা মামলা করলে সেখানেও মিন্নিকে সাক্ষী করা হয়।

মামলার তদন্তে নেমে এক পর্যায়ে হত্যাকারী নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পর্কের প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির। আগের বিয়ের তথ্য গোপন, নয়ন বন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা, হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হয়ে যান মিন্নি। মামলাটিও মোড় নেয় অন্যদিকে।

এরপর নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাইকোর্ট থেকে বিচারিক কার্যক্রম চলমান থাকার সময় পর্যন্ত বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় জামিন পান মিন্নি। বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিজের আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলামের জিম্মায় জামিনে রয়েছেন মিন্নি।

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে আমার মেয়েকে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে। সারা দেশের মানুষ দেখেছে আমার মেয়ে মিন্নি কিভাবে তার স্বামী রিফাতকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই মিন্নিকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আমার বাসা থেকে আমাকেসহ আমার মেয়েকে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসে আসামি শনাক্ত ও জবানবন্দি নেয়ার জন্য। কিন্তু সকাল পৌনে ১০টার দিকে এনে রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর কোনো কারণ আমি আজও বুঝতে পারছি না।

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছি মিন্নি নির্দোষ। মিন্নি যদি রিফাত শরীফকে হত্যার চেষ্টাই করবে তাহলে কেন সে সময় আসামিদের ধারালো অস্ত্রের মুখে রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে? রিফাত শরীফ মৃত্যুর আগে তার বাবার কাছে বলে গেছে মিন্নি এ মামলার সাক্ষী। আমরা মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আদালতে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছি। আদালতের রায়ের প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.