কোয়ারেন্টাইনে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বন্ধ হচ্ছে হাসপাতালও। দ্রুত নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত না করলে, অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি যেমন বাড়ছে; তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অন্য রোগীরা। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা পরীক্ষার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অর্ধশতাধিক চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের সংগে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদেরও থাকতে হচ্ছে বিচ্ছিন্ন হয়ে। যথাসময়ে সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহ না করা এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা চিকিৎসকদের নমুনা দ্রুত পরীক্ষা না করায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ছে বলে অভিযোগ তাদের।
এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের রোগী দেখতে বলা হচ্ছে কিন্তু ন্যূনতম সেফটির বিষয়টি দেখা হচ্ছে না।
কোনো চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে গেলে বা আক্রান্ত হবার খবরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই হাসপাতালের সাধারণ সেবা। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন অন্য রোগীরা। ঝুঁকি এড়াতে লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও কোয়ারেন্টিনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, চিকিৎসাকর্মীদের দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করা উচিত। না হলে অনেক নার্স ডাক্তার নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারে যা বৃহত্তর সমাজের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ জন চিকিৎসকের পাশাপাশি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন সকল স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনাও দ্রুত পরীক্ষার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কারা করোনা পজিটিভ সেটি নিশ্চিত হতে দেরি হলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।