অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল ও তার তিন সহযোগীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ ইস্যু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক চারটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
দুদকের পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদ (অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) স্বাক্ষরে এই চারজনের নামে পৃথক পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়।
পাপুল ছাড়া বাকি তিনজন হলেন- মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার, কাজী মো. জামশেদ কবির (বাকী বিল্লাহ) ও মো. ইসমাইল খোকন।
নোটিশে বলা হয়, ‘উল্লিখিত ব্যক্তিদের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের নামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদকের নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম এমপি ও তার মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ ইস্যু করে দুদক।
উল্লেখ্য, মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের একটি আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারের পর পাপুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কুয়েতের আদালত। এরপর থেকে তিনি কুয়েতের কারাগারে।
গত ১১ নভেম্বর পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক।