দীর্ঘ সাত বছর স্থগিত থাকার পর আলোচিত হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ১২শ কোটি টাকার অনুসন্ধান শুরু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক । এ জন্য দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।।
দুদকে আবার ফাইল খুলছে হলমার্ক কেলেঙ্কারীর। সোনালী ব্যাংক থেকে ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত হলমার্ক ঋণের নামে লোপাট করে ৩৭শ কোটি টাকা। যার মধ্যে ফান্ডেড লোন অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক সরাসরি ঋণ দিয়েছে হিসেবে ১৫শ কোটি টাকা । আর অন্য ব্যাংক থেকে ছাড় পাওয়া বাকি ১২শ কোটি অর্থাৎ ননফান্ডেড টাকা সোনালী ব্যাংকই হলমার্কে দিয়েছিল । ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হলমার্কের ফান্ডেড ১৫”শ কোটি টাকা লোপাটের অনুসন্ধান করে দুদক। এর পর মামলা করে ৩৮টি।
২০১২ সালেই চালু হয় হলমার্কের লোপাট নন ফান্ডেড ১২শ কোটি টাকার অনুসন্ধান শুরু হয়।কিন্তু ২০১৩ সালে এই হলমার্কের ননফান্ডেড ঋণ কেলেঙ্কারীর অংশের অনুসন্ধান স্থগিত হয়ে যায়।
দীর্ঘ সাত বছর পর আবার হলমার্কের লোপাট ননফান্ডেড অংশে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।সোমবার কমিশন বৈঠকে এই বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, বর্তমানে কমিটি পুনর্গঠনের কারণ হলো, যে ৪১টি ব্যাংক এবং শাখায় এই আর্থিক লেনদেনগুলো হয়েছে, সেখানে জাল-জালিয়াতির কোনও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কিনা, কোনও দুর্নীতি ঘটেছে কিনা—এই বিষয়গুলো পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কমিটি অনুসন্ধান করে যে প্রতিবেদন দাখিল করবে, কমিশন তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
হল-মার্কের এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে দেশি-বিদেশি ৩৭টি ব্যাংকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা । যার পুরোটাই লোপাট করা হয়েছে। আগের মামলায় ইতোমধ্যে হলমার্কের তানভির মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার ও মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ গ্রেপ্তার আছে।
এদিকে সোনা চোরাকারকারী গোল্ডেন মনির সংশ্লিষ্টতায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রাজউকের পরিচালক, পিডাব্লিউডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলিসহ ৬জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।