প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু করতে পারে সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে। শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে পারবে এবং স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করতে পারবে। সে লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
রোববার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসি-তে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০ এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০ এর স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মহামারির মধ্যে শিশুদের অনলাইন ও টেলিভিশনে পাঠদানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাচ্চারা যদি স্কুলে যেতে না পারে তাহলে তাদের উপর একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। যখন আমরা প্রস্তুতি নিলাম স্কুল খুলবো, তখনই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসলো।
সশস্ত্রবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসি তখন থেকেই যাত্রা শুরু। ২০০৯ এ সরকার গঠনের পর আমরা সশস্ত্রবাহিনীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুখ্যাতি পাচ্ছে। তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে।
সশস্ত্রবাহিনীকে সব সময় একটি আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন এবং প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তাদের ধন্যবাদ জানান। এসময় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়া ওঠা সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানানোর পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমানড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর- আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে, এ বছর ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এ (এনডিসি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩১ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চার কমোডোর এবং একজন ক্যাপ্টেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাঁচ জন এয়ার কমোডোর রয়েছেন।
সশস্ত্র বাহিনী অফিসারদের পাশাপাশি দু’জন অতিরিক্ত সচিব, ১১ জন প্রশাসনের যুগ্ম সচিব এবং সিভিল সার্ভিসের অন্যান্য ক্যাডার, বিদেশি পরিষেবা থেকে একজন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুলিশের দুইজন উপ-মহাপরিদর্শক এতে অংশ নিয়েছিলেন। ১২টি বন্ধু দেশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল এবং সমমানের পদমর্যাদার ২৫ জন সদস্যও এ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
এবছর আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে তিনজন কর্নেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, দু’জন ক্যাপ্টেন এবং ছয় জন কমান্ডার বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে সাত গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং একজন উইং কমান্ডার অংশগ্রহণ করেন।