চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে পাঁচতলা হোটেল ধসে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ জনকে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২৩ জন। সম্ভাব্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রূপান্তর করা হয় হোটেলটিকে। খবর: সিনহুয়া ও বিবিসি
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ পাঁচতলা ভবনটি ধসে পড়লে এর ভেতরে অন্তত ৭০ জন আটকা পড়েন। হোটেলটি পুরোপুরি ধসে পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। ভেতরে আটকাপড়া লোকজন সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগী। সেখানে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল। আচমকাই বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ার কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎই বিকট আওয়াজ শুনতে পান তারা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখেন পাঁচতলা হোটেলটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষজন সাহায্যের আরজি জানাচ্ছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে এগিয়ে যাননি। সম্ভাব্য করোনায় আক্রান্ত রোগীরা ওই বাড়িতে থাকায় সংক্রমণের ভয়ে তারা উদ্ধার কাজে হাত লাগাননি।
ওই হোটেলের বিপরীত ভবনে বাস করা এক চীনা নাগরিক বলেন, আমি খাবার খেতে বসছিলাম। এমন সময় একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমি মনে করেছিলাম কিছু একটার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু বারান্দায় ছুটে গিয়ে দেখি, পুরো হোটেল ভবনটি ধসে গেছে।
শিনজিয়া এক্সপ্রেস হোটেলটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালের জুনে। মূলত ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্যই এই হোটেলটি নির্মাণ করা হয়। হোটেলটিতে মোট ৮০টি রুম রয়েছে। করোনা সংক্রমণের পর হোটেলটিকে বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করে স্থানীয় প্রশাসন।