বরিশালে ৮ মাস আগে সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) মো. শাহাবুদ্দিন খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে, তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
চুরি হওয়া ১২৬ ভরি সোনার মধ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৩ ভরি। সিসি ক্যামেরা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি হওয়া বাকী সোনা উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িত অপর চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
গত ১৯ মার্চ দুপুর সোয়া দুইটায় নগরীর কাঠপট্টি রোডে আশ্রাব জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দোকানের মালিক বাচ্চু তালুকদার জানান, দোকান বন্ধ করে দুপুরের খাবারের জন্য যান। ওঁৎ পেতে থাকা চোরেরা অভিনব কায়দায় দোকানের তালা ভেঙে ঢুকে ১২৬ ভরি সোনা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিনই বরিশালের কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে দোকান মালিক। ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় লিটন নামে একজনকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ২০ নভেম্বর সে আদালতে চুরির কথা স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এই চক্রের আটজন এবং চোরাই সোনা কেনার অভিযোগে দুই সোনা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নিজ নিজ এলাকার থানায় চার থেকে সাতটি করে মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার হয়েছে। বাকি সোনা উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
দোকানে সোনা ছিল প্রায় ২শ’ ভরি। চুরির সময় আশপাশের সবগুলো দোকান খোলা ছিল। তবে টের পায়নি কেউ। চুরি হওয়া বাকী সোনা উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িত অপর চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।