প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারি মোকাবিলায় লকডাউনসহ বিভিন্ন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে অনেক দেশ। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্যের পাশাপাশি একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসছে বৈরী সম্পর্কের দেশগুলোও।
বিশ্বব্যাপী চলা এই দুর্যোগের মধ্যেই নাকি যুদ্ধকবলিত ও দুর্ভিক্ষপীড়িত ইয়েমেনের ওপর বিমান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাস্ক ফেলছে সৌদি আরব। ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী সাইফুল্লাহ আল সামি এমন অভিযোগ করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর।
সাইফুল্লাহ আল সামি দাবি করেন, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং আরো কয়েকটি শহরের ওপরে সৌদি আরব যুদ্ধবিমান থেকে প্রচুর পরিমাণে মাস্ক ফেলছে, যা ভাইরাস আক্রান্ত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
ইয়েমেনের জনগণ যাতে এসব মাস্ক ব্যবহার না করে, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক করার জন্য এবং সম্ভাব্য বিপদ থেকে দূরে রাখার জন্য সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান তিনি।
এ কর্মকর্তা আরো যোগ করেছেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে এখনো মহামারীতে সংক্রমণের কোনো ঘটনা শনাক্ত করা যায়নি।
হুতি নিয়ন্ত্রিত সরকারটির তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইয়েমেনে যদি কোনোভাবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে এর জন্য সৌদি আরবকে সম্পূর্ণভাবে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।
ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী সানাসহ পুরো দেশ দখল করলে ২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেন সংঘাত শুরু হয়।
২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট যখন হুতিদের দমনে অভিযান পরিচালনা করে, তখন থেকে দেশটিতে সহিংসতার পরিমাণ বেড়ে যায়। এ সংঘাতের ফলে হাজার হাজার বেসমারিক ইয়েমেনি মারা যান। এ ছাড়া সংঘর্ষের ফলে দেশটির মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। এতে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে দিন কাটান।