তারা অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসিকলাইনের সঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সমন্বয় করে লং আইল্যান্ডে বেশ কয়েকজন উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন ‘কোভিড-১৯’ আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত আজকাল পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যাকশন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা রোগীর চিকিৎসায় তিন বাংলাদেশি-আমেরিকান চিকিৎসকের সাফল্য এখন নিউইয়র্কে আলোচিত বিষয়।’
‘করোনা মোকাবিলায় যখন যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে নিউইয়র্ক হিমশিম খাচ্ছে, তখন চিকিৎসকরা নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এই সাফল্য বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যে একটি ভালো খবর,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যমকে এই তিন চিকিৎসক জানিয়েছেন, যে কয়েকজন রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তাদের অধিকাংশই এখন পুরোপুরি সুস্থ।
গত ১১ এপ্রিল এবিসি নিউজের নিউইয়র্ক সংবাদদাতা ডেরিক ওয়ালের তার ভেরিফাইড টুইটারে বলেন, ‘আজ রাত ১১টায় উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের নতুন পরীক্ষামূলক চিকিৎসার ওপর রিপোর্টিং করবো। লং আইল্যান্ডে দুটি প্রচলিত ওষুধের সমন্বয়ে এই চিকিৎসা আশাব্যঞ্জক ফল দিয়েছে। অন্যদের মনেও আশা জাগাবে কি? চোখ রাখুন এবিসির পর্দায়।’
তিনি সেখানে একটি ছবিও পোস্ট করেন। তাতে লেখা আছে— ‘৪৫ রোগীকে ডক্সি-এইচসিকিউ-এর সমন্বয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ৪৫ জনই ক্লিনিক্যালি সুস্থ।’
এবিসিকে ড. রায়ান সাদি বলেন, ‘এমন সাফল্য পাবো তা আশা করিনি।’
এই চিকিৎসা অন্যদের মনে আশা জাগাবে কিনা— এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি এই দুটি ওষুধের সমন্বয় করে প্রয়োগ করি তাহলে বলবো, “হ্যাঁ”, আশা জাগাবে।’
করোনাক্রান্ত ৪৫ রোগীর সুস্থতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ৪৫ রোগীই ছিলেন উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন। এই সংখ্যাটি কম না!’
তবে ঘরে বসে কেউ যেন এসব ওষুধ প্রয়োগ না করেন সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে এবিসির প্রতিবেদনটিতে।
এছাড়াও, এবিসি নিউজের প্রধান মেডিকেল সংবাদদাতা ড. জেনিফার অ্যাশটন গণমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘এটি এখনো পরীক্ষামূলক অবস্থায় আছে। আরও অনেক অনেক পরীক্ষার প্রয়োজন।’