নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এমপি বলেছেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেল্টা) ছড়িয়ে এখন সারাদেশই করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সাথে ভয়াবহভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এক কোটি তিন লাখ ডোজ পেয়ে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে দেয়া হয়েছে। ১৪ লাখ ৪০ হাজার জন দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। যারা দ্বিতীয় ডোজ পায়নি তাদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ জানে না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে কমপক্ষে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে শতকরা হিসেবে মাত্র ৩ দশমিক ৩০ ভাগ।
বিবৃতিতে জি এম কাদের আরো বলেন, সরকারি সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত টিকার মজুদ মাত্র ৫৭ লাখ। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার সরকারিভাবে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে, যাতে প্রয়োজনীয় জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে এক ডোজ করে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে। দুই ডোজ করে দিতে গেলে এর প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগবে। সেটাও সম্ভব হবে যদি সময় মতো বাকি টিকা পাওয়া যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছে, করোনার টিকা নিলে আক্রান্তের হার যেমন কমে তেমনি কমে যায় মৃত্যু ঝুঁকিও।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে করোনা দেশকে কোনো অবর্ণনীয় ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যাবে।
মহামারী করোনা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে দ্রুত গণটিকা কর্মসূচি আরো জোড়ালো করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা।