• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

আওয়ামী জোটের শরিকরা অকার্যকর

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০০৪ সালের শেষদিকে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে ২৩ দফার ভিত্তিতে গঠিত জোটের নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। আদর্শিক এই জোট ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে একসঙ্গে অংশ নেয়। দুই দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায়ও রাখা হয় জোট নেতাদের। সর্বশেষ জোট নেতাদের বাইরে রেখে সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ, জাসদ-ইনু, ন্যাপ (মোজাফফর) এবং বাম জোট ১১ দল মিলে এ জোট গঠন হয়। ১১ দলে আছে- সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, সাম্যবাদী দল, বাসদ (খালেকুজ্জামান), বাসদ (মাহবুব), গণতন্ত্রী পার্টি, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল।
এদের মধ্যে সিপিবি, বাসদ, (খালেকুজ্জামান) ও নির্মল সেনের শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল শুরু থেকে ১১ দলের সঙ্গে থাকলেও ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়নি। গণফোরামও জোট থেকে বেরিয়ে যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তারা।
এদিকে বাসদ (মাহবুব) জোটের শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। দলটির প্রধান নেতা আ ফ ম মাহবুবুল হক ২০০৪ সাল থেকে কানাডায় চলে গেলে দলের কার্যক্রমও সীমিত হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালে কানাডায় মারা যান মাহাবুবুল হক। এ সময়ে একাধিক খ-ে ভাগ হয় দলটি। বর্তমানে রেজাউর রশীদের নেতৃত্বে বাসদের একটি অংশ ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৪ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়। অপরদিকে জাসদ ইনু ভেঙে বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া) গঠন হয়। বর্তমানে জাসদের দুই অংশই ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে একসঙ্গে ভোট করলেও ক্ষমতার অংশীদার করা হয়নি। এরপর ১৪ দলের শরিক দলগুলোর ভেতর দূরত্ব বেড়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতারা এই দূরত্বকে ক্ষমতার অংশীদার থাকা না থাকার দূরত্ব বলে মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজি জাফরউল্যাহ বলেন, এই দূরত্ব মূলত ক্ষমতাকেন্দ্রীক।
জোটের শরিক নেতাদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ নেই বললেই চলে। করোনা মহামারি মোকাবেলায়ও জোটগত কোনও কর্মকা- নেই। মোটকথা ভালোমন্দ কিছুতেই যোগাযোগ হয় না। অথচ আগে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
শরিক নেতারা বলেন, দূরত্ব এমন পর্যায়ে গেছে যে, ঈদ, পূজা-পার্বণে সামান্য শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয় না। তাদের দাবি, ১৪ দল এখন অতীত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা অকার্যকর।
তবে আওয়ামী লীগ বলছে জোটে দূরত্ব নেই। রাজনৈতিক কর্মকা- নেই বলেই মনে হচ্ছে দূরত্ব আছে। জোটের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, জোট অটুট আছে।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট হয়েছে, সেসব পূরণে আরও সময় দরকার। তাই জোট সক্রিয় রাখাই বাঞ্ছনীয়। এ জন্য আওয়ামী লীগকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। জোট নেতাদের ভেতর মনোমালিন্য রয়েছে। আলোচনা করে এর সমাধান করা উচিত।’
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমরা কি আর অ্যাকটিভ হবো না? জবাবে আমি বলেছিলাম আমরা অ্যাকটিভই আছি। যাদের হওয়ার কথা তারা নেই।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘আন্দোলনের সময় জোটের দরকার হয় বেশি। তখন ছোট-বড় দলের প্রশ্ন আসে না। জোটের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা সময়ই বলে দেবে।’
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জোটের কর্মকা- এখন ইস্যুভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনায় সীমাবদ্ধ। ২৩ দফার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনও নজর নেই। এখন হয়তো আওয়ামী লীগ ভাবছে বাকিটা পথ তারা একাই এগোবে।’
কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহবায়ক অসীত বরণ রায় বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। তাই ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তাও শেষ হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.