মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমাণ ডিজিটাল প্রযুক্তি : পথিকৃৎ মুজিব থেকে সজিব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। বর্তমান সরকারকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। প্রণোদনা প্যাকেজ অনিয়মের কথা বলছে। অথচ তারাই অনিয়ম দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ চলছে। শহরে হাসপাতালে ভর্ত হওয়া অধিকাংশ রোগী গ্রামের। এখন কোনো রাজনীতি নয়। রাজনীতি হবে দেশের মানুষকে বাঁচানো। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সব কিছু করছে সরকার। এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, করোনা ওয়েভসহ নানা সংকটের পরেও দেশের সামস্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতার জন্য সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এখন বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের অনেক ফারাক। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য। স্যাটেলাইট বিশ্বের সদস্য। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রকৃত অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই কারিগর বিশ্বের বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ইমারজিং টাইগার হিসাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আইসিটি খাতে পরিবর্তনের স্থপতি জয়ের নেতৃত্বে আসন্ন চতুর্থ শিল্প ব্প্লিবে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রচিত হবে।
ভার্চুয়াল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনভিাসির্টি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে মানুষের জীবনের স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। উন্নত হয়েছে। সরকারি কাজে, দক্ষতা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করেছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর।