জেলা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি পাহাড়ে হাজার বছর ধরে বসবাসরত উপজাতি ত্রিপরা পল্লী পাহাড়ি ঢলের কারণে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় ঘেরা ত্রিপরা পল্লীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছড়া যে ছড়াটি দিয়ে বৃষ্টি আসার সাথে সাথেই পাহাড়ি ঢল নেমে পড়ে সেই ঢলের তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ত্রিপুরা পল্লীতে।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশে ত্রিপরা পল্লী থেকে ছড়াটি পার হয়ে আসার জন্য অনেক দিন আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ একটি ব্রিজ রয়েছে ব্রিজটি পাহাড়ি ঢলে যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ত্রিপরা পল্লীর বেশ কিছু নারী ও পুরুষ তাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ব্রিজ দ্রুত মেরামত এবং পাহাড়ী ঢলের ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য গাইড ওয়াল তৈরি করার কথা বলেন।
ত্রিপরা পল্লী গ্রাম্য নেতা চিত্ত রঞ্জন বর্মা বলেন, আমরা এই সাতছড়ি পাহাড়ের মধ্যে হাজার বছর যাবত বসবাস করে আসছি এখানে আমাদের বাপ-দাদা থেকে শুরু করে আমাদের বংশধররা বসবাস করে আসছে কিন্তু বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই এখান থেকে অনেক ত্রিপুরা পরিবার ভারতে চলে গেছে।
ত্রিপরা পল্লীর আরেক শিক্ষিত যুবক জানান, পল্লীতে প্রায় ৬০ পরিবার বসবাস করত কিছুদিন আগেও এখানে ২৫ টি পরিবার ছিল কিন্তু পাহাড়ি ঢলের কারণে ছড়া ভাঙ্গনের ভয়ে পাঁচটি পরিবার অন্যত্র চলে যায়। ত্রিপরা পল্লীর এক বুদ্ধ মহিলা জানান দ্রুত যদি পাহাড়ী ঢলের কারণে ছড়া ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা না হয় তাহলে তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে হয়তো একদিন চলে যেতে হবে। নতুবা তাদের কোনো উপায় থাকবে না।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, আমরা দূর-দূরান্ত থেকে যেমন পাহাড়বেষ্টিত অঞ্চল বিভিন্ন জীবজন্তু দেখতে আসি তেমনি আমাদের দেশের সংস্কৃতি মিশে থাকা পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ দেখেও আমরা আনন্দ পাই পর্যটকরা বলেন, আমাদের সংস্কৃতিকে থেকে যেন পাহাড়ি এই ক্ষুদ্রনীগোষ্ঠী জাতি হারিয়ে না যায় সে জন্য তাদেরকে যথাযথ সুযোগ-সুবিধা প্রধানের জন্য জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।