দেশের মোবাইলফোন অপারেটর রবিতে বিনিয়োগ অংশীদার জাপানের এনটিটি ডোকোমো বিদায় জানাচ্ছে।
রবিতে থাকা ডোকোমোর অংশ (৬ দশমিক ৩ শতাংশ) কিনে নিচ্ছে ভারতের মোবাইলফোন অপারেটর ভারতী এয়ারটেল।
জানা গেছে, এরইমধ্যে বিষয়টির জন্য অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংস্থাটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়েছে।
ডোকোমোর শেয়ার কিনে নেয়ার ফলে রবিতে ভারতীয় এয়ারটেলের শেয়ার হবে ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ। অবশিষ্ট ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশর মালিকানা থাকছে রবি আজিয়াটার নিজের কাছেই।
এ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে বিষয়টি এখনও আসেনি। দেশের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক নয়, অফিস বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক পরে কথা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিতে এনটিটি ডোকোমো ছিল কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর)। টেলিকম পলিসি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের ফলে ডোকোমো মনে করছে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে না। তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফলে তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ গুটিয়ে নিতে চায়।
জানা যায়, এনটিটি ডোকোমো বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে ২০০৮ সালে। ওই সময়ে তারা একটেলের (রবির আগের নাম) ৩০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। ২০১৩ সালে জাপানের ডোকোমো তাদের শেয়ার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনে। কিন্তু ২০১৬ সালে রবি ও এয়ারটেল একীভূত হলে মূল্যায়িত হয়ে এনটিটি ডোকোমোর শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশে। এবার এ শেয়ার ডোকোমো বিক্রি করছে ভারতী এয়ারটেলের কাছে।
এ বিষয়ে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, রবি আজিয়াটায় এনটিটি ডোকোমোর যে শেয়ার রয়েছে তা ভারতী এয়ারটেলের কাছে ট্রান্সফারের বিষয়ে বিটিআরসি অনুমোদন দিয়েছে বলে আমরা জেনেছি। বর্তমানে তা মন্ত্রণালয়ের (ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এই ট্রান্সফার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে রবি আজিয়াটা লিমিটেডে ভারতী এয়ারটেলের শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩১.৩ শতাংশ হবে। আর মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের কাছে রবির বেশিরভাগ তথা ৬৮.৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, গ্লোবাল টেলিকম জায়ান্ট ভারতী এয়ারটেলের রবিতে শেয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে আমাদের প্রতি তাদের আস্থার প্রতিফলন এবং দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।