মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা চাষে মাহমুদুল হাসান মুকুলের সাফল্য এসেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট নতুনবাড়ী গ্রামের মাহমুদুল হাসান মুকুল বসবাস।
লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন মাল্টার চাষে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা। আবহাওয়া ও মাটি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ভালো ফলনও পাচ্ছেন চাষিরা। তার প্রত্যেকট গাছে ৪০০ টি থেকে ৫০০টি পর্যন্ত ফল ধরেছে। কোনো কোনোটিতে তারও বেশি।
জানা যায়, মাহমুদুল হাসান মুকুল ২০১৫ সালে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি বিভাগে যোগাযোগ শুরু করেন। সে সময় রাণীশংকৈল সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চলছিল। আগ্রহ দেখে কৃষি বিভাগ তাকে মাল্টা-কমলা চাষের প্রশিক্ষণ শেষে বারি মাল্টা-১ জাতের ৮০টি, ৬টি কমলা লেবু, ১২টি কলম্ব লেবু, ১০টি বাতাবি লেবু চারা দেয়। পরে তিনি চারাগুলো বাড়ির পেছনের চল্লিশ শতক জমিতে রোপণ করেন। গত বছর থেকে বাগানের তিন চতুর্থাংশ মাল্টা গাছে ফল ধরতে শুরু করে।
মাহমুদুল হাসান মুকুল বলেন, আমরা যারা মাল্টা চাষ করেছি, তারা এখনো বাজার সৃষ্টি করতে পারিনি। তাই এলাকার লোকজনের কাছেই প্রতি কেজি ১০০ টাকাকায় বিক্রি করছি।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ জানান, মার্চ-এপ্রিল মাসে বারি মাল্টা-১ গাছে ফুল আসে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ফল পাকে। ৫-৬টা মাল্টা ওজনে এক কেজি হয়। ঠিকভাবে পরিচর্যা করলে একটি পরিণত গাছে গড়ে ১৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত ফল ধরে।