ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানায়, সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত দেশের ২০৫টি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানির মধ্যে ৩১টি কোম্পানিকে ‘কালো’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে নিম্নমান ও ভেজাল ওষুধ উত্পাদনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওষুধ কোম্পানি গুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের আনন্দমহী ওষুধালয়, ঢাকা মিরপুরের অ্যারন আয়ুর্বেদিক ওষুধালয়, ঢাকা সাভারের বাংলাদেশ ল্যাব, ঢাকা হাট খোলা রোডের বিগবেন ফার্মাসিউটিক্যালস, ঢাকার মধ্যবাসাবোর মেডিকাল্যাবরেটরিজ, ঢাকা শান্তি নগরের সাইমন আয়ুর্বেদ ল্যাবরেটরিজ, ঢাকা মিরপুর বাজারের শাবা ওষুধালয়, ঢাকার শক্তি আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ, ঢাকার মোহাম্মদপুরের ভেনাস ওষুধালয়।
ঢাকার বাইওে রয়েছে- ময়মনসিংহের আতিক ফার্মাসিউটিক্যালস, চট্টগ্রামপাহাড় তলীর বনজী দাওয়াখানা লি:, দিনাজপুরের বেঙ্গল আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ ও বেঙ্গল টেকনোকেমিক্যালস ওয়ার্কস, গাইবান্ধার শহীদুল্লাহ রোডের কনফিডেন্স ফার্মা, কুমিল্লার দাফি দাওয়াখানা, চট্টগ্রামের দেশজ ওষুধালয়, ময়মনসিংহের ঢাকা হারবিক ল্যাব, নারায়ণগঞ্জের ডনকো আয়ুর্বেদিক ফার্মাসিউটিক্যালস, টাঙ্গাইলের ডি-সানফার্মাসিউটিক্যালস, ফেনী দাওয়াখানা, ফরিদপুরের ফিনিক্স আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ, গাজীপুরের হাশেমড্রাগ, সিলেটের হাইজেনিক ড্রাগআয়ুর্বেদিক, চট্টগ্রামের জনতা আয়ুর্বেদিক, পাবনার জুয়েল আয়ুর্বেদিক, নারায়ণগঞ্জেরএমসিআইলি:, রংপুরের মহিগঞ্জ ওষুধালয়, বগুড়ার ইউনিট ফার্মাসিউটিক্যালস।
এদিকে মানবহির্ভূত ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, পরিদফতর থেকে অধিদফতওে রূপনেওয়ার পরও গতিশীল হতে পারেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
অধিদফতরের এমন দুর্বলতার সুযোগে অসাধুব্যবসায়ীরা বাজাওে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভেজাল ওষুধ। দেশে প্রায় দু’শ’টি ওষুধ কোম্পানি নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছে। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদন করেই ওষুধ প্রস্তুত কওে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ আদালতের সীমাবদ্ধতা। সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না থাকায় ওইসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেনা ওষুধ আদালতও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডীন অধ্যাপক ডা: এ বি এম আব্দুল্লাহ দৈনিক সবুজ বিপ্লবকে জানান, মানবহির্ভূত ওষুধ খেলে ওষুধ খাওয়ার উদ্দেশ্য হাসিল হবেনা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যে কোন মানবহির্ভূত ওষুধই জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি। ওইসব ওষুধ খেলে হীতে বিপরীত হতে পারে। অন্য কতকগুলো জটিলরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীওে দেখা দিতে পাওে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। রোগীর রক্ত উত্পাদন কাজ চরমভাবে ব্যাহত হতে পারে। এসব মানবহির্ভূত ওষুধ গ্রহণকারী কিডনি, হার্ট, ব্রেন, গ্যাস্টিক-আলসার ও রক্ত উত্পাদন ব্যাহত হওয়ার মতো জটিল সমস্যায় পড়তে পারে। মানবহির্ভূত ওষুধ এড়িয়ে চলার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা: এবিএমআব্দুল্লাহ।