মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীক নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হকের সমর্থকরা পরাজিত নৌকা ও মোটরসাইকেল সর্মথকদের উপড় হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দী গ্রামে বুধবার রাত ১০ টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৯ জন আহত হয় এবং ১৫ টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা বুধবার রাতে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে গেফতারের ভয়ে লতব্দী গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
আহতরা হলেন, টেটাঁবিদ্ধ ইয়াছিন (৩৮), মোহাম্মদ আলী (৫০) , অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা বেগম (১৯) , মোক্তার হোসেন (৩৫), দেলোয়ার হোসেন (৪০)সহ কমপক্ষে ০৯ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তঃসত্ত্বা নাসিমা বেগমকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া টেঁটাবিদ্ধ মোহাম্মদ আলীকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌকার পরাজিত প্রার্থী এসএম সোহরাব হোসেন জানান, ‘নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে নৌকার বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থী হাফেজ মো. ফজলুল হকের সমর্থকরা এলাকার নিরীহ মানুষের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটসহ মারধর করেছে।অভিযোগ অস্বীকার করে হাফেজ মো.ফজলুল হক বলেন, ‘আমার সমর্থকরা ভাঙচুর করে নাই, ভাঙচুর করেছে মোটরসাইকেল প্রার্থী জহিরের সমর্থকরা, আমার লোকজন মারামারি থামিয়েছে।’
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, ‘এ ঘটনায় ৩জন আহতের তথ্য পেয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য চতুর্থ ধাপে গত ২৬ শে ডিসেম্ভর সিরাজদিখান উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়