পাপিয়া আক্তার
উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে
অগ্নিশিখার দাউ দাউ প্রজ্বলন
সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
একটি কবিতা ধ্বনিত হয়েছিল সেদিন
জয় বাংলা, বাংলার স্বাধীনতা
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙবো মোরা
আর মানবোনা,মানবোনা অধীনতা।
যে মহাকাব্য এক করে দেয় বাংলার
সারে সাত কোটি তাজা প্রাণ
বলো দেখি তার চেয়ে কি আছে
বিশ্ব ভূমন্ডলে মহাকাব্য মহিয়ান?
প্রতি বাঙালির শিরায় আন্দোলিত
হলো উদ্ভাসিত স্বাধীনতার জয়গানে
বীর কাঙালি অস্ত্র ধরলো হাতেহাতে
উদ্ধৃত কালজয়ী কবিতার ভাষনে।
বাংলা মায়ের বীর দামাল ছেলেরা
ছুটে এসেছিল যুদ্ধের ঘাটে-মাঠে
মৃত্যু যেনো তাদের দিচ্ছে হাতছানি
তবুও জয় বাংলার স্লোগান ঠোঁটে।
লাখো লাখো জনতা অধীর ব্যাকুল
কম্পিত উচ্চারিত ব্যাঘ্রের গর্জনে
টগবগ করে ফুটে ওঠে গরম রক্ত
দুর্ভেদ্য মুক্তির সনদ স্বাধিকার অর্জনে।
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
এ যে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার বানী
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
আজও অমর সেই কবিতাখানি।
বিশ্ব দিলো যোগ্য জাতির স্বীকৃতি
মুজিব দিলো মোদের স্বাধীনতার সত্তা
আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলাদেশ
লাল সবুজের নিজস্ব পতাকা।