নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী’র সাথে ঈদ পূর্ববর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও সবুজছায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাশেদ সিমন। আজ ২৫ এপ্রিল পল্টনে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাশেদ সিমন।
বাশেদ সিমন পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।১৯৯১ সালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পথ চলা শুরু করেন। বিএনপির শাসনামলে রাজনীতির রোসানলে বিভিন্ন হামলা-মামলার শিকার হয়েছিলেন। ঢাকায় এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হোন। ২০০০ সালে স্থানীয়ভাবে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে সবুজ ছায়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য অধ্যায়নরত রয়েছেন। নিজের নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ জনগণের জন্য নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ, শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষা ও খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ, অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য করোনাকালীন সময়ে অনন্য অবদান রেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এই কমিটিতে কাজ করতে পেরে ইহকাল এবং পরকালে যেন প্রতিদান পান এমন প্রত্যাশা তার।
বাশেদ সিমন তার অনুভূতিতে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করেছি। শুরু থেকে জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার নির্বাচনী এলাকায় আমাকে যদি নমিনেশন দেন তাহলে আমি ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সহ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো। পরিকল্পিত নগরায়ন, আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা, একটি শিশুও যেন ঝরে না পরে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে তার জন্য বিশেষ নজর দেয়া,নারীদের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ছোট ছোট কারখানা গড়ে তোলা , কৃষকদের মাঝে আধুনিক কৃষি সামগ্রী, স্বল্পমূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা,শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ভূমিকা রাখা, তরুণ প্রজন্মের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা, নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ, অআধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সড়কপথের উন্নয়ন ঘটানো , সব রকম দুর্নীতি থেকে নিজেকে এবং সর্বস্তরের জনগণকে মুক্ত রাখতে সংগ্রাম চালিয়ে যাব।