• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

সাদিয়া শারমিন ও তার সহযোগী লায়লা তামি আরও অর্ধ শতাদিক মামলার আসামি

বিশেষ প্রতিবেদক সাদিয়া শারমিন ও তার সহযোগী লায়লা তামি যেন খিলগাঁও মডেল কলেজ, খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও প্রভাতি বাগের এক আতংক। মানুষ যেন তাদের নাম শুনলে ভয়ে থুবরে যায়। এই সাদিয়া শারমিনের জন্ম কুমিল্লার বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল হোতা ডালিমের পরিবারে। তারপর থেকে চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালিন সময়ে সে জামাত শিবিরের পক্ষে চালিয়ে গেছেন অসংখ্য নাশকতা। তারপর খিলগাঁও মডেল স্কুলে এসে একে  একে শুরু করেন ধ্বংসযজ্ঞ। খালেদা জিয়ার আমলে সে আফরোজা আব্বাসের বান্ধবী, কখানো মির্জা ফকরুলের বেয়াইন হিসাবে পরিচয় দিত বলে তার দাপটে কোন অভাবই ছিলো না। একটাই নেশা শুধু টাকা আর, যে কোন উপায়ে টাকা তার ইনকাম করতেই হবে। স্বৈরাচারের পতন হলো, বাংলাদেশের হানাদার বিএপির পতন হলো  সে  ঘাটি জমালো  শরীফ আলী খান এর সাথে। চেহারা একটু সুন্দর হওয়ায় আর পুরুষ মানুষের গা ঘেষা স্বভাব বলে সবার সাথে মিশতে তার সময় লাগে না। আর সমাজের সে কলেজে শিক্ষক মহৎ পরিচয়টা ব্যবহার করে যার কারণে হাজারো অপকর্ম এক কথায় দামাচাপা দিয়ে যায়। কখনো  সে সাবের হোসেনের পিএ, কখনো আওয়ামী লীগের একজন ঘনিষ্ট ব্যাক্তি ডাঃ আবদুর রাজ্জাক ভাইয়ের মেয়ের শাশুড়ি, কখনো আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রহমান ভাইয়ের ছোট ভাইয়ের বউ বলে পরিচয় দিত।  কিন্তু পাপতো বাপেকেও ছাড়ে না। তাই ২০০৮ থেকে  একে একে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন বার তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির মামলা দায়ের করেন। সকল জাতীয় পত্রিকায় তার অপকর্মের লেখা প্রকাশিত হয়। যখন যে পত্রিকা তার বিরুদ্ধে লিখতো তখনই সে  কলেজের জামাত শিবির ও বিএনপির ছেলেদের দিয়ে সেই সম্পাদককে বিভিন্ন্ ভাবে  হয়রানী করত্।ো দিন যায় তার তদবীর বাণিজ্য আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। তার সাথে হাত মিলাতে থাকে তার ভাইয়ের পরিত্যাজ্য স্ত্রী ও তার ৬৮ বছর বয়সের মা সাজেদা বেগম।  বেভটামিনালের কাজ পাইয়ে দেওয়া, কাউকে করোনা কীটের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে এলাকায় আওয়ামীলীগের ছোট-খাটো পদ বিক্রি শুরু করে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকে ঘুষ দিয়ে তার মাধ্যম্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনঠাসা করে কলেজের টেন্ডারের দায়িত্ব নেয় এবং পুরাতন জেনারেটর সাপ্লাই দিয়ে সে আর রেজনুউল হক  রাসেল হাতিয়ে নেয়  কলেজের লক্ষ লক্ষ টাকা। এভাবে সে ক্ষান্ত হয় না বড় কোন মেয়ে ব্যবসায়ী ধরা ছিলো তার আর তার ভাইয়ের টার্গট।  মিথ্যা প্রেমের ফাসিয়ে এক মেয়ে ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে হাতিয়ে নেয় কয়েক কোটি টাকা ও ব্যবসায়ীর বৃদ্ধাশ্রম পর্যন্ত নিজেদের নামে করতে চায় । নিজেদের নামে করতে না পেরে লিপ্ত হয় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার টার্গেট। তাকে ও তার ছেলে দুটোকে মেরে ফেলার জন্য বহু কৌশল অবলম্বন করে। না পেরে তার অফিসের এমডিকে পাঁচ লক্ষ করোনার কীটের অনুমোদন করে দিবে বলে  আশি লক্ষ টাকা সে, তার ভাইয়ের পরিত্যাজ্য স্ত্রী ও তার মা অত্যান্ত সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়। যখন এই টাকা নেওয়া হয়ে যায়  তখন সে তার ভাইকে দিয়ে ব্যবসায়ীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। কিন্তু টাকা নেওয়ার সকল ডকুমেন্টস তো রয়েই গেছে  তাই এই ডকুমেন্টস লোপাট করার জন্য সে তার  আর ভাই ৪-৭-২০২২ইং তারিখে ভিকটিমের অফিসে প্রবেশ করে এবং ভিকটিমকে সুকৌশলে ডেকে আনে। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে  আসলে তাকে দিয়ে বø্যাংক ষ্ট্যাম্পে সিগনেচার করনোর চেষ্টা করে।   সফল হতে না পেরে তাকে তার ভাই  জোর পর্বক ধর্ষণ করে এবং সাদিয়া শারমিনের শিখানো মতে তার মোবাইলে সব ধারণ করে। এই মামলায় সে গ্রেফতার  হয়েও শারিরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এক সপ্তাহের জামিনে আসে এবং ভিকটিমের উপর চালায় না ধরনের নির্যাতন। বিভিন্ন্ ভূয়া রিপোটার্র, ভুয়া সাংবাদিক দিয়ে ফোন করায়, ভিকটিমকে এসিড মারার প্রিপারেশন, ভিকটিমের সন্তানদের  হত্যার থেকে শুরু করে বিভিন্ন নাষকতায় লিপ্ত আছে। এতবড় ভয়ংকর মহিলা সে। জি আর মামলা নং- ২২৫/২০২২  (কোতয়ালী)  ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। কোতয়ালী থানায় মামলা নং- ৬৫। এই মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে সে আজ অবধি নি¤œ আদালতে হাজির হয়নি। উল্টো কলেজ শিক্ষক হিসাবে মানুষ কে বলে আমার কিছুই হবে না, আমি শিক্ষক। অথচ তার নামে বরিশাল আদালতে দুইটি মামলা চলমান। ঢাকার আদালতে দুইটি মামলা চলমান। সিলেটে একটা ও চট্টগ্রামে একটি মামলা চলমান। তা ছাড়া আরো তিনটা মামলা ছিলো যা ভিকটিম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিথ্যা আপোষ করে ভিকটিমকে দিয়ে প্রত্যাহার করিয়েছেন। এছাড়া ঢাকার ৮টি থানায়  বিভিন্নভাবে সাদিয়া শারমিন, লায়লা আমি ও তার মা’র থেকে প্রতারিত হয়ে অর্ধশত জিডি করছে। এই সাদিয়া শারমিনের মা সাজেদা বেগমের নামে কুমিল্লাতে  কাজের মেয়েকে মেরে ঘুম করারও অভিযোগ আছ্।ে এছাড়া এরা প্রভাতি বাগের ১৪০/১, নম্বরের বাসায় অসামাজিক  বিভিন্ন কার্যকলাপে লিপ্ত আছে। তার শরীয়াত ও আইন কানুন কিছুই মানে না।  সাদিয়া শারমিন ও তার মা সাজেদা বেগম তার ছেলে ও  ছেলের তালাকপ্রাপ্ত বউ লায়লা তামিকে প্রতি রাতে এক ঘরে থাকতে  দেয়। যা সমাজকে বিভিন্ন ভাবে কুলশিত করছে। শাদিয়া শারমিনের  এ যাবত তিনটা বিয়ের কাবিন নামা বের হয়েছে। এর ভিতরে সিলেটের মৌরলভী বাজারের এক লন্ডন প্রবাসীকে ব্যবহার করে বিয়ে পর্যন্ত করেছে। এভাবে তার সহযোগী লায়লা তামি ন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক কেমন যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না।  অথচ নিজের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে বড় বড় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দিবে বলে তার পূর্বের স্বামীকে দিয়া ফোন করায়। সে এ যাবত চারটা ফৌজদারী মামলার আসামী । বরিশাল কোতয়ালী থানায় তার নামে দুইটা মামলায় ওয়ারেন্ট হয়ে আছে। আমাদের সমাজে এই ধরনের শিক্ষক  সমাজের কুলাংগার। এদের আইনের আওতায় এনে  শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য কামনা করছি। সামনের সংখ্যায় এদের বিষয়ে আরো সংবাদ আসবে আমাদের তদন্ত রিপোর্টে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.