নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় ৮ প্রতিষ্ঠানকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে।সোমবার র্যাব-১০ পরিচালিত এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম। এ সময় ও বিএসটিআই’র প্রতিনিধি উপস্থিতিত ছিলেন।
র্যাব-১০ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবির শোয়েব বলেন, অভিযানকালে অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ডডেমরায় সজিব কেমিক্যাল কোম্পানিকে ৪ লাখ, নিই দিলখুশ বেকারীকে ২ লাখ, হাইকো কনজিউমার প্রডাক্টসকে ৫০ হাজার, রাব্বি ওয়েল এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ, কদমতলীর জে কে ফুড প্রডাক্টসকে ৩ লাখ, নিউ সোলার পাওয়ার বস্টার মশার কয়েলকে ২ লাখ, যাত্রাবাড়ীর জে-বক্স এন্ড কোম্পানিকে ৬ লাখ ও কেরানীগঞ্জের গ্রীণ প্যাক ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেরানীগঞ্জের কনিক্স ট্রান্সমিশন জেল ক্রবিনেটারের ২ জনকেল।জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরে দণ্ডপ্রাপ্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করছিলেন।
আবারও র্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত যাত্রাবাড়ীর জে-বক্স এন্ড কোং কোম্পানিকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও কোম্পানির শুরু থেকে নানা অভিযোগ রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে।জে-বক্স এন্ড কোঃ লিঃ নামের কোম্পানীর মালিক স্প্রীট নান্নু নামেই সবাই চিনে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিদেশ থেকে ইথাইল এলকোহল আমদানী করে ঔষধ না বানিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় র্যাবের অভিযানে এর আগেও অসংখ্য অনিয়ম পেয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করলেও বিগত বছরে ড্রাগ প্রশাসন নান্নুর কারখানায় উকি দিয়েও একবারও দেখেনি। ফলে, স্প্রীট নান্নু এখনও স্প্রীটের মতোই সব অবৈধ্ কাজ বৈধ করে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ড্রাগ প্রশাসনের ফাইলিং কর্মকর্তাকে মসোয়ারা দিয়ে প্রকাশ্যে স্প্রীট ব্যবসা করছে। এমনকি, ড্রাগ আইন বহির্ভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপণ প্রচার করে অবৈধভাবে বাজারজাত করছে জিনসেং কিউ, জিংপোর্ট, ডায়াবক্স, জে আমব্রাফোর্ট, গ্যাস্টোকিউর, জিংগো-বি, ফাইটোলেক-প্লাস, প্রোফেস্ট এজমালিন, ক্যাকটাস, কার্ডিরেক্স, স্টোবক্স, এম্বালিকা, আলফাটোন, কেলি-ডি, লেক্সোকিউর,বেবিলিন কিউর নামের ঔষধ। র্যাব যেখানে অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত ক্যামিকাল ও অবৈধভাবে মওজুদকৃত স্প্রীট জব্দ এবং অনুমোদহীন ঔষধের লেবেল-কার্টন জব্দ করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন। সেখানে ড্রাগ প্রাশসনের তদারিক বা নজরদারী কোনোটাই নেই। যার ফলে, প্রতিষ্ঠানটি স্বঘোষিত ফরমুলায় হোমিও ঔষধ বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সেবায় চরম ক্ষতিসাধন করছে।র্যাবের অভিযানে জে-বক্স এন্ড কোঃ লিঃ এর মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে।