করোনা ভাইরাস আতংকের মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট কেন্দ্র চূড়ান্ত করার পাশাপাশি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। এদিকে ভোটার উপস্থিতির হার কম হওয়ার শঙ্কায় নির্বাচন পেছানোর দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন পেছানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি।
দেশের যে কোনো ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিপরীত মেরুতে অবস্থান সব সময়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও তার থেকে বাদ যায়নি। নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নগরবাসীর মধ্যে বাড়ছে করোনা ভাইরাস শঙ্কা। ভোটের দিনেও করোনা ভয়ে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে আশঙ্কা বিএনপি’র। অপর দিকে আওয়ামী লীগের দাবি, করোনা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপে ভোটাররা আশ্বস্ত।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র কো চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং বিভিন্ন রকম প্রতিরোধীমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন যখন কাছে চলে আসবে তখন করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াবে, সেটা একটা বিষয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
স্থানীয় এক ভোটার বলেন, আমার মনে হয় নির্বাচন পেছানো উচিত। যেহেতু করোনায় গ্যাদারিং বিষয়ে নিষেধ আছে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ভোটারের জন্য ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র যেমন চূড়ান্ত করা হয়েছে, তেমনি নিয়োগ দিয়েছে ১৬ হাজার ১৬৩ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হবে এসব নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। এখন প্যানেল প্রস্তুতের কার্যক্রম চলছে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম, বিএনপির ডাক্তার শাহাদাত হোসেনসহ ৭ জন, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭০ জন এবং ১৪ টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।