বিশেষ প্রতিনিধি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সৈকতের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট বজায় রাখতে আদালতের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।জেলা প্রশাসকের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির।আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনের নিষ্ক্রীয়তায় সৈকত এলাকা বারবার অবৈধ দখলের শিকার হয়। অবৈধ দখলের পর সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেন দখলদাররা। এতে সৈকতের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যটকদের স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটে। অনেক সময় হয়রানীর ঘটনাও ঘটে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বারবার আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে হয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন আবেদন নিয়ে আর না আসতে হয় তার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কয়েকটি নির্দেশনার আরজি জানিয়েছিলাম। আদালত কক্সবাজার ডিসির বিরুদ্ধে অবমাননার রুল নিষ্পত্তি করে দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন।এর আগে, ২০১১ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। পরিবেশবাদি ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) আবেদনে এ রুল জারির পাশাপাশি জেলা প্রশাসককে তলব করা হয়। নির্দেশমত গত ১৯ অক্টোবর আদালতে হাজির হলে উষ্মা প্রকাশ করে ডিসি মো. মামনুর রশিদকে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্ট।ওইদিন ডিসি মামুনুর রশিদকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিসি।প্রতিবেদনটি আজ বুধবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৈকতের বালিয়ারিতে ২৬০টি ও সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরপর আদালত ডিসি মামনুর রশিদকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রুলটি নিষ্পত্তি করে দেন।