বিশেষ প্রতিনিধি বীমার পর এবার ‘জাঙ্ক’ বা ‘মন্দ’ শেয়ারে ঝুঁকছে শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেনে শেয়ার সংখ্যার বিবেচনায় শীর্ষে উঠেছে অ্যাপোলো ইস্পাত এবং সিএনএটেক্স। শুধু লেনদেন হওয়া শেয়ার সংখ্যায় নয়, দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইসে ক্রেতাশূন্য অবস্থা থেকেও উভয় কোম্পানির শেয়ার বেরিয়ে এসেছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রায় ১০ মাস ফ্লোর প্রাইস ১০ টাকা ২০ পয়সায় পড়ে থাকার পর গতকলাই প্রথম এ দর ছেড়ে সর্বশেষ ১০ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে সিএনএটেক্সের শেয়ার। পাবলিক ও ব্লক মার্কেট মিলে কোম্পানিটির পৌনে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে ৯ মাস পর অ্যাপোলো ইস্পাত ৮ টাকা ২০ পয়সা ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে সর্বশেষ ৮ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেন হয়েছে সোয়া ১০ কোটি টাকার শেয়ার।এ দুটি ছাড়াও গতকাল জিবিবি পাওয়ার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ঢাকা ডাইং, ইভিন্স টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিম, ডেফোডিল কম্পিউটার্স কোম্পানির শেয়ারও ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে। এর বাইরে জেনারেশন নেক্সট কোম্পানির শেয়ার ফের ফ্লোর প্রাইসে নামলেও বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর বাইরে পূবালী ব্যাংক এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারও ফ্লোর ছেড়েছে।পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকালই মোট ১০ শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়েছে। অবশ্য চারটি দর হারিয়ে ফের ফ্লোর প্রাইসে নেমেছে। এগুলো হলো– মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিএসআরএম স্টিল এবং জেনারেশন নেক্সট। সার্বিক হিসাবে গতকাল দিনের লেনদেন শেষে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার সংখ্যা ছয়টি কমে ২০৮টিতে নেমেছে। এখন ফ্লোর প্রাইসে ওপরে ১৮৪ শেয়ার।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কম দামি ও রুগ্ণ কোম্পানিগুলোর ২০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক লেনদেন বৃদ্ধির পরও খাতওয়ারি লেনদেনে বীমা খাতের একক প্রাধান্য ব্যাপক হারে কমেছে। এ খাতের প্রায় ১২৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হলেও তা ছিল মোটের ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা মঙ্গলবারও ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ।ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, বন্ধ কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের ফের উৎপাদনে ফেরা, অনিষ্পণ্ন এজিএম করা এবং লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে শেয়ারটির দুই মাসেরও কম সময়ে ৩০ টাকা থেকে সাড়ে চার গুণ বেড়ে ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। সিএনএটেক্সও অনিষ্পণ্ন এজিএম করাসহ পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এ দুই কোম্পানির খবর একই ধরনের বন্ধ বা রুগ্ণ কোম্পানির শেয়ারের পালে হাওয়া দিচ্ছে।সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে ১০৩ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৭৪টির এবং ১৯০টির দর অপরিবর্তিত। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩১৯ পয়েন্টে উঠেছে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ৭৮৬ কোটি টাকার শেয়ার।