নিজস্ব প্রতিবেদক দেশে উৎপাদন ও সরবরাহের বড় কোনো সংকট না থাকলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে বেড়েছে মোটা চালের দাম। পাইকারিতে দাম বাড়ায় বেড়েছে খুচরায়ও। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অবশ্য এই দাবি নাকচ করেছেন। অন্যান্য চালের দামে অবশ্য পরিবর্তন নেই। বাজারে মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। ডাল, সয়াবিন তেল, চিনি, আটা ও ময়দার মতো পণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, শাহজাহানপুর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বাজারে মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের ৫০ থেকে ৫১ টাকা কেজি দরের গুটি স্বর্ণা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। সেগুনবাগিচা বাজারের মায়ের দোয়া রাইস এজেন্সির বিক্রেতা মো. সুজন প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দিনে বস্তাপ্রতি মোটা চালের দাম পাইকারিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে তাই দাম বেশি। অন্যান্য চালের দাম আগের মতোই আছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ীও ঢাকার বাজারে মোটা চালের দাম বাড়তি। টিসিবি বলছে, এক মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপরে। তবে দাম বাড়ার বিষয়টি নাকচ করে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘চালের দাম আপাতত বাড়ার কারণ দেখছি না। তবে খরা বা বন্যার কারণে চলতি আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে চালের দাম বাড়তে পারে।’ বাজারে অন্যান্য চালের মধ্যে মাঝারি মানের বিআর ২৮ চাল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর নানা পদের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে ডিম ও মুরগির দামও। ব্রয়লার ও সোনালি উভয় মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তাতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ৫ টাকা। বাদামি রঙের ফার্মের মুরগির দাম ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা ডজন। সাদা ডিমের ডজন ১৩৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। করলার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি মানভেদে ২০০-৩০০ টাকা। মাছের দাম আগের মতোই আছে।