করোনা পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সরকার যখন নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে সংকট কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। ঠিক তখনই বিএনপি তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্তিমিত করে সরকারের বিষাদগারে লিপ্ত।
বিগত প্রায় দুই মাস ধরে এ দলে নতুন কোন কর্মসূচি নেই বললেই চলে। করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে বিএনপি। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে কর্মীরা। সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপরিকল্পনার কথাও জানেন না নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে কয়েকবার ঘুরে দেখা গেছে, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পুরো ভবনটি জুড়ে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে আবদ্ধ থাকলেও কার্যালয়ের সামনে নেই কোনো নেতাকর্মীর আনাগোনা। ভেতরের চিত্র একই। প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় মূল দলের দাফতরিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সেখানে কয়েকজন নামমাত্র কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনের মধ্যে হতাশা কাজ করায় নেতাকর্মীরা অফিসে আসেনা। এখন দলের কার্যক্রম মানেই শুধু প্রেসব্রিফিং।
তৃতীয় তলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলের অফিস প্রায় সবগুলোই এখন তালাবদ্ধ। নেই নেতাকর্মীদের পদচারণা।
তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে দলের মধ্যে ঐক্য অটুট আছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ঘোষণা দিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রেখেছি। এখন সাংগঠনিক কার্যক্রমের সময় নয়, এখন করোনা নিয়ে কাজ করার সময়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। আমরা তাই করছি। ত্রাণ সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। নেতাকর্মীদেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারাও নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। তাই পার্টি অফিসে নেতাকর্মীর দেখা যায়না।
তিনি বলেন, এটা সত্য যে এখন এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে হয়তো শারীরিক ভাবে গিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মোবাইল অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। সে দিক থেকে বললে শতভাগ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ মেইনটেইন করা সম্ভব হচ্ছে তা বলবো না, তবে পরিবেশ পরিস্থিতিতে যতটুকু সম্ভব তা করা হচ্ছে।