বিশেষ প্রতিনিধি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকাশিত হবে। সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।রোববার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ।
৯ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ‘বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৮০ জন (মেধা কোটায় ৫০৭২ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ৫৬৯ জন ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জন) পরীক্ষার্থীদের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছ।
মোট এক লাখ চার হাজার তিনশত চুয়াত্তর জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।পরীক্ষায় পাস নম্বর পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় ৪০ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। এর ভিত্তিতে মোট ৪৯ হাজার ৯২৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ যার মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ২০ হাজার ৪৫৭ জন যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৪০.৯৮ শতাংশ। উত্তীর্ণ নারী প্রার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৬৬ জন যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৫৯.০২ শতাংশ।সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৪,৩৪৭ জন এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ১০০৩ জন। ২০২২- ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজ,ডেন্টাল কলেজ বা ইউনিটে ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
মোট ৫,৩৮০টি সরকারি আসনের মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২,৩১২ জন (৪৩%) এবং মহিলা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০৬৮ জন (৫৭%)। মেধা কোটার ৫০৭২টি আসনের মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২,১৯৪ জন (৪৩.২৬%) এবং মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২,৮৭৮ জন (৫৬.৭৪%)। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যার ৫% হিসাবে ২৬৯ জন শিক্ষার্থী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে।
