বিশেষ প্রতিনিধি প্রতিবছর বিশ্বে অন্তত চার লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। যথাসময়ে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৮০ শতাংশ রোগী ভালো হয়। সচেতনতার অভাব, মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাবসহ নানা কারণে বেশির ভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মারা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, শিশুদের ক্যান্সার হয় সেটি অনেকে জানেন না। শিশুর ক্যান্সার শনাক্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিরাময় করা সম্ভব হয়। শিশুদের ক্যান্সার নিরাময়ে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে সফলভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা শিশুদের এ চিকিৎসা করার উদ্যোগ নিয়েছি।
শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, যতদিন পৃথিবীতে মানুষ থাকবে, ততদিন ক্যান্সার হতেই থাকবে। তবে কিছু কিছু পদক্ষেপে ক্যান্সার কমানো সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ, বায়ু ও পানিদূষণ কমাতে পারলে ক্যান্সার কমানো সম্ভব।ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লেনিগেলস হেলথ সিটি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক হেমাটো অনকোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. পোন্নি শিবপ্রকাসম এই সেমিনারে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমি ৬০০ জনের বেশি বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করেছি। আপনারা চাইলে বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের যাবতীয় অবকাঠামো তৈরি ও চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করব। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, এগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তাও দিতে পারব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– অধ্যাপক ডা. ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. গোলাম হাফিজ, ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আসাদুল ইসলাম, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম।