• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই

‘স্যার ফিনিশ’ বলা সেই সুমন জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া

বিশেষ প্রতিনিধি রাজধানীর পল্লবীতে ২০২১ সালের মে মাসে শিশুসন্তান মাশরাফির সামনে তার বাবা ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে ব্যস্ত সড়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে ফোন করে কিলিং মিশনের এক সদস্য বলেছিল, ‘স্যার ফিনিশ।’ সাবেক এমপির সঙ্গে হত্যা মিশনে জড়িত ওই ব্যক্তির কথোপকথন পরীক্ষা করে পুলিশ ও র‍্যাব নিশ্চিত হয়, কণ্ঠটি পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন ব্যাপারীর। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, তাতেও সুমন তিন নম্বর আসামি। দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকার পর কয়েক মাস আগে জামিনে বেরিয়ে এসেছে সুমন। এরপর থেকেই যেন সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পল্লবীতে সর্বশেষ গত শনিবার সাহিনুদ্দিনের আদলেই ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী ব্যস্ত রাস্তায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মো. ফয়সাল নামে এক তরুণকে। এ ঘটনায় সুমনের জড়িত থাকার বিষয়টি না জানা গেলেও এরপর থেকে আবারও স্থানীয়দের স্মৃতিতে ফিরে এসেছে সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ড। 

পল্লবীর স্থানীয়রা জানান, জামিনে বেরিয়ে ফের পুরোনো সন্ত্রাসের রাজত্বে ফিরেছে সুমন। বেশ কয়েকবার সে সাহিনুদ্দিনের পরিবারের জমি দখল করতে যায়। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম থানায় একাধিক জিডিও করেছেন। এ ছাড়া যারা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে, তাদের ওপর হামলা করে সুমন ও তার সহযোগীরা। হত্যাসহ একাধিক মামলা ও অভিযোগ মাথায় নিয়েই স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে একের পর অপকর্মে জড়াচ্ছে সুমন।  নিহত সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম বলেন, ‘জেল থেকে বেরিয়ে আবার উৎপাত শুরু করেছে সুমন। বাড়ির সামনে গিয়ে মাঝে মাঝে দলবল নিয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে যায়। আমার নাতির সামনে ওর বাপকে মারা হয়। সুমনকে বাড়ির সামনে দেখে এখন নাতি ভয়ে দৌড়ে ঘরে চলে আসে।আকলিমা আরও বলেন, ‘জামিনে বের হয়েই সুমন ও টিটুর লোকজন আমাদের জমির মাটি কাটতে আসে। বাধা দেওয়ার পরও তাদের লোকজন কাজ করেই যাচ্ছিল। থানায় গিয়ে জিডি করেছি। টাকা দিয়ে ওরা সব ম্যানেজ করে ফেলে। আমরা গরিব; আমাদের তো অত টাকা নেই। পুলিশও আমাদের কথার গুরুত্ব দেয় না। পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে সুমনের কর্মকাণ্ডের ওপর নতুন করে প্রতিবেদন দেয়। তার জামিন বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেয়। কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নেয়নি। আমরা আতঙ্কে আছি।’  

সুমন ব্যাপারীর হামলার শিকার পল্লবীর ডি ব্লকের বাসিন্দা মেহেদি হাসান ঝিনুক। সম্প্রতি তিনিও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান,  এলাকা না ছাড়লে তাঁর পরিণতি সাহিনুদ্দিনের মতো হবে বলে শাসিয়েছে সুমন। মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে ঝিনুকের গালে খুঁচিয়ে জখম করে।জামিনে বের হওয়ার পর সুমনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলার শিকার ১২ নম্বর সেকশনের এম শাহেদুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করেন। শাহেদুল জানান, গত ডিসেম্বরে সুমনের লোকজন এলাকার ফুটপাত থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা তুলছিল। তিনি গোপনে ভিডিও করে তা ফেসবুকে শেয়ার করেন। এই ঘটনার জেরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহেদুলের বাসায় আক্রমণ করে সুমন ও তার সঙ্গীরা। ওই সময় তাঁকে মারধর করা হয়। সুমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেন শাহেদুল। এ কারণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আবার পল্লবী এলাকায় শাহেদুলের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি। 

জানা গেছে, সুমন যাদের নিয়ে পল্লবীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে, তাদের মধ্যে রয়েছে– লোপন, বাবু ওরফে গ্যাং বাবু, টারবু বাবু, ইব্রাহিম, আলামিন, আবুল, জামান, আফান, আব্বাস, শওকত, রাজন, দীপু, কাল্লু, ব্লেট বাবু ও হাবিব। পল্লবীতে সুমনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংও রয়েছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জমি দখলের সঙ্গেও তারা জড়িত।  এ ব্যাপারে জানতে সুমন ব্যাপারীর দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এলাকায় গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শাহেদুলের ওপর হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই মুন্সী আলামিন বলেন, ‘সুমনকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। মাঝে মাঝে এলাকায় ঢুঁ মারতে পারে। খবর পেয়ে অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করতে পারিনি। ভয়ে সুমনের ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে চান না। চার দিন আগে খবর পেয়ে অভিযান চালানোর পর মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়েছে সে।’
 
ফয়সাল হত্যার মূল আসামি অধরা 
পল্লবীতে ফয়সাল হত্যা মামলার মূল আসামি রাব্বীকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে ২০-২২ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো–  ইয়াসিন, সায়মন, নাছির ও হৃদয়। গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ইয়াসিন। 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.