বিশেষ প্রতিনিধি সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে আজ শনিবার বিকেলে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ উদ্বোধন করতে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাছান মাহমুদ। পরে সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সম্প্রতি ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়ে বাংলাদেশের দস্যুরা বেশি ভয়ঙ্কর’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।‘দেশের মানুষ খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য বিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই। উনাদের মনে অশান্তি– বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। কিন্তু মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে।এ সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবেন, ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতিমধ্যেই সাধিত হয়েছে।‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ উদ্বোধনের সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সামিল হয়েছেন। এর মাধ্যমে ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার– সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
এই দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেউ সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। সব সময় (প্রতিহত) করেছি, ভবিষ্যতেও করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।’আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্তা, মো. শাহাবুদ্দিনসহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।