বিশেষ প্রতিনিধি ডা. জাফরুল্লাহ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, দানবীর, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সমাজসেবক, রাজনৈতিক স্পষ্টভাষী ও সময়ের সাহসী সন্তান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার কণ্ঠ।মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টি এ স্মরণসভার আয়োজন করে। সভায় নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহর মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিককে হারিয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ, সবার জন্য চিকিৎসা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। তিনি সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ বহু শিল্প প্রতিষ্ঠা করে গণমানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।’
লেবার পার্টি মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশীদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণঅধিকারের সদস্য সচিব ফারুক হোসাইন প্রমুখ।