আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগামী শুক্রবার ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তার দুইদিন আগে বুধবার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে এই ইশতেহার প্রকাশ করেন রাজ্যের সাবেক অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন প্রমুখ।
ইশতেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদির শপথ’। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিসহ ৬টি ভাষায় এই ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ১০টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। যার মধ্যে অন্যতম- জব কার্ডধারী ব্যক্তিদের জন্য ১০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করা এবং সে ক্ষেত্রে দেশের সর্বত্র দৈনিক ৪০০ রুপি মজুরি প্রদান, সব গরিবদের জন্য বিনামূল্যে বাড়ি, প্রতিবছর দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবার পিছু ১০টি করে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদান, দুয়ারে রেশন, গোটা দেশে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কন্যাশ্রীসহ অন্য প্রকল্পের সুবিধা প্রদান, উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লাখ রুপি মূল্যের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদান, ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ডিপ্লোমা এবং ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক বৃত্তিসহ এক বছরের অ্যাপ্রেন্টিস সুবিধা প্রদান।
সেই সাথে সুশাসন, উন্নয়ন, কৃষকদের উন্নয়ন সাধন, অবকাঠামোগত উন্নতি, জাতীয় সুরক্ষার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে এই ইশতেহারে। গরিব, কৃষক, অন্য অনগ্রসর শ্রেণি, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, দলিত, যুব, নারী সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির জমিদার প্রথার বিলোপ ঘটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদল হিসেবে কেন্দ্রে যদি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়তে পারে তবে তারা ইশতেহারে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
কোনো অবস্থাতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং অভিন্ন দেওয়ান বিধি (ইউসিসি) কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলেও তৃণমূলের এই ইশতেহারে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ক্ষমতায় আসলে সিএএ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, এনআরসি বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং অভিন্ন দেওয়ান বিধিও চালু করতে দেওয়া হবে না।