বিশেষ প্রতিনিধি রেলওয়ের ট্রেনের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিনে। তবে অনলাইনের মতো ভেন্ডিং মেশিনেও টিকিট প্রতি ২০ টাকা বাড়তি চার্জ দিতে হচ্ছে। যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন, স্টেশনে আসার পর কেনো বাড়তি চার্জ দিতে হবে?
রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, মেট্রোরেলের স্টেশনের ভেন্ডিং মেশিনে নগদ টাকা প্রবেশ করিয়ে টিকিট পাওয়া যায়। এর জন্য বাড়তি চার্জ দিতে হয় না। কিন্তু রেলওয়ের ভেন্ডিং মেশিনে নগদ টাকায় টিকিট কেনার সুযোগ নেই। অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে হয়। এই কারণেই টিকিটে ২০ টাকা চার্জ নেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে জানিয়েছে, মোট ১৫টি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে চারটি, বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী স্টেশনে দুটি করে, খুলনা, সিলেট, রংপুর, পঞ্চগড়, কক্সবাজার স্টেশনে একটি করে ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া হয়েছে।
রেলের হয়ে টিকিট বিক্রি করে সহজ লিমিটেড। ভেন্ডিং মেশিনে টিকিট বিক্রির কার্যকম কোম্পানি পরিচালনা করছে। কাউন্টার থেকে প্রতি টিকিট বিক্রির জন্য ২৫ পয়সা পায় সহজ। অনলাইনে বিক্রি হওয়া প্রতি টিকিটের ২০ টাকা চার্জে সাড়ে ৬ টাকা পায় কোম্পানিটি। সাড়ে ৬ টাকা পায় যে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা হয়। সরকার ভ্যাট পায় ৩ টাকা। বাকি ৪ টাকা পায় রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট।
সোমবার কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায় ভেন্ডিং মেশিনে টিকিট কাটছেন কয়েকজন যাত্রী। মেশিনে স্ক্রিনে প্রারম্ভিক স্টেশন, যাত্রার তারিখ ও গন্তব্য স্টেশনের নাম লেখা ঘর রয়েছে। তারিখ ও গন্তব্যের ঘর পূরণ করে ‘সার্চ ট্রেন’ অপশনে ক্লিক করলে ট্রেনগুলোর নাম এবং আসন সংখ্যা দেখানো হয়। এরপর যাত্রীদের নিবন্ধন দিয়ে টিকিট কাটতে পারেন।
জামালপুরগামী যমুনা এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য আসা নাঈম রউফ বলেন, খুবই সহজ কাজ। তবে স্টেশনে আসার পর কেনো বাড়তি ২০ টাকা নেওয়া হবে, তা বোধগম্য নয়। মেট্রোরেলে নগদ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু রেলওয়ের ভেন্ডিং মেশিনে লেনদেন পুরোপুরি অনলাইন। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কিছু তথ্য দিতে হচ্ছে। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে কী না, একটু ভয় রয়েছে।প্রতি টিকিটে ২০ টাকা চার্জের বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেছেন, টাকার লেনদেন অনলাইন হচ্ছে। ব্যাংক এই সেবা বিনামূল্যে দেবে না। সে কারণেই চার্জ নেওয়া হচ্ছে। ভেন্ডিং মেশিনে টিকিট কেনা বাধ্যতামূলক নয়। কোনো যাত্রী চার্জ এড়াতে চাইলে, আগের মতোই কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে পারবেন। আর যাত্রীদের যদি চার্জ নিয়ে আপত্তি থাকে, তাহলে রেল তা বিবেচনা করতে পারে। তবে ব্যবস্থাটি মাত্রই চালু হয়েছে। পুরোদমে চালু হোক, ভালোমন্দ দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে রেল কর্মকর্তার বলেছেন, একজন যাত্রী কাটার সময় লাইনে থাকা অন্য যাত্রী স্ক্রিন দেখতে পারবেন না। যদিও সরেজমিনে দেখা গেছে, গোপনীয়তার বালাই নেই।