সিলেটে আইসোলেশনে থাকা যে নারী মারা গেছেন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পরই জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা। রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
গত শনিবার দিবাগত ভোর রাত ৪টার দিকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে মারা যান ওই নারী।
এর আগে গত ৪ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি। সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২০ মার্চ তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। রোববার (২২ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সেখানে তিনি মারা যান।
সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল আরো বলেন, ২০ মার্চ শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ওই নারীকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়। আজ রোববার ঢাকা থেকে আইইডিসিআর’র লোক সিলেটে এসে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। তবে এর আগেই তিনি মারা গেলেন।
মৃত্যুর পর ওই রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
এদিকে শনিবার করোনায় মৃত দ্বিতীয় ব্যক্তির পরিবারে কেউ বিদেশ ফেরত নন, তবু এখনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি আইএডিসিআর এর।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব না দিয়েই সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করেন তারা।
তবে তার আগে তিনদিন বাদে আবারো সাংবাদিকদের সামনে এসে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে নতুন করে ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিন মাঝপথে ব্রিফিং এ যোগ দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। নতুন করে হিসেব নিকাশ করে জানান বর্তমানে ১৩ হাজার কিট মজুত আছে।