• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ The Ultimate Guide To Dating Laotian Women Who Are Jordanian Mail Order Brides? ‘বিরসকাব্য’ হয়ে যায় ‘বউয়ের জ্বালা’! নাটকের উদ্ভট নাম নিয়ে মোশাররফ করিমের হতাশা ইয়াশ রোহানের প্রিয় অভিনেতা সেদিন টি–শার্ট পরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন ইরফান বরাবরই আমরা রবীন্দ্রনাথের কাছে ফিরি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে মুখ খুললেন এমিলি ভেবেছিলাম মরেই যাব, প্রতিদিন ৩০ ওষুধ ও ইনজেকশন নিতে হয়েছে : মৌনি রায় তবে কি অন্তঃসত্ত্বা দীপিকার সংসারে ভাঙনের সুর? সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ দিবস শাহিদ-কারিনার সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ইমতিয়াজ আলি নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন অসুস্থ বৃদ্ধ পাকুন্দিয়ায় জাল ভোট দেওয়ায় তিন জনকে সাজা

যশোর পৌর এলাকার দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে পৌর এলাকার দোকানপাট এক সপ্তাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের ৩ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসনের সভা থেকে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফেসবুকে ‘যশোর লকডাউন’ বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জনগণকে প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

সভায় আরো বলা হয়, এখনও যশোরের পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে ‘লকডাউন’ করতে হবে।

রোববার (২২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী ও সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সম্মতিক্রমে সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে এক সপ্তাহ মুদি, খাবার এবং ওষুধের দোকান বাদে যশোর পৌর এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলার রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে সভার সিদ্ধান্ত স্যোশাল মিডিয়ায় যশোর ‘লকডাউন’ বলে ছড়িয়ে পড়ে। এবং তা ভাইরাল হয়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ায় জেলা প্রশাসক বিকেল ৪টায় ব্যবসায়ী নেতা, পৌর মেয়র, পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের নিয়ে জরুরি সভা আহ্বান করেন।

ওইসভায় পুনরায় ব্যবসায়ীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এসময় ব্যবসায়ী নেতারা এক সপ্তাহের জন্য দোকানপাট বন্ধের ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই বলে জানান এবং জেলা প্রশাসককে সিদ্ধান্ত দেবার অনুরোধ করেন।

এদিকে, সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, সরকার যশোরের ব্যাপারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাছাড়া ‌’লকডাউন’ বলে গুজবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকলকে সচেতন হতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবেন এবং আপনারা দোকান কত সময় খোলা রাখবেন নিজেরাই নির্ধারণ করে নেবেন। যশোরের অবস্থা যদি খুব খারাপ পর্যায় যায়, তাহলে প্রশাসনই তখন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এ সময় পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। যেহেতু বাজার এলাকায় জনসমাগম বেশি হয়। তাই ব্যবসায়ী নেতারা বসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা কত সময় খোলা রাখলে ভালো হবে, তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের অন্যতম ভ্যাকসিন হচ্ছে সচেতনতা। ব্যক্তিপর্যায়ে সবাই সচেতন হলে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাবো। তাই সকলকে সচেতন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশও পরিষ্কার রাখতে আহ্বান জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.