বেগম জিয়ার মুক্তির শর্ত নিয়ে ভিন্নভিন্ন মত দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, মানবিক কারণে দেয়া মুক্তির পর রাজনীতি করলে তা হবে শর্ত ভঙ্গের শামিল। একই মত দুদক আইনজীবীরও। তারমতে, মুক্তি দেয়ার আগে উচ্চ আদালতের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। আর বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটের তার দিক নির্দেশনায় অপেক্ষায় আছেন নেতাকর্মীরা।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত দণ্ড স্থগিত করে কাউকে মুক্তি দেয়ার ঘটনা ঘটলো। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির সরকারের সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে বিএনপি। তবে দেশের বাইরে না যাওয়া এবং বাসায় চিকিৎসা নিতে মুক্তির এমন শর্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
মুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে দুদক আইজীবীর আপত্তি থাকলেও তিনি বলেন, শর্তভঙ্গ করলেই বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার বিধান মানতে হবে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যখনই এ বিষয়ে আদালতে উঠবে তখনই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
অ্যার্টনি জেনারেল বলছেন, মুক্তির পর বেগম জিয়া রাজনৈতিক বক্তব্য বা কর্মসূচিতে অংশ নিলে তা হবে মুক্তির শর্ত ভঙ্গ।
মাহবুবে আলম বলেন, উনার শারিরীক অবস্থা খারাপ এই যুক্তিতেই স্থগিত করা হয়েছে। তারপরেও যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন তাহলে দরখাস্তের শর্ত ভঙ্গ হয়ে যাবে।
যদিও বেগম জিয়ার আইনজীবী বলছেন, দেশের বাইরে যাওয়া ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে বাধা নেই তার।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তিনি মুক্ত। রাজনৈতিক কর্মসূচী দিবেন কি দিবেন না, উনার প্রজ্ঞা রয়েছে উনি জানাবেন।
৬ মাস পরও সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে পারবে সরকার। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলতে থাকবে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো।