অঘোষিত লকডাউনে ঢাকা। বন্ধ গণপরিবহন, সীমিত আকারে চলছে কিছু কারখানা। এর মাঝেও অস্বাস্থ্যকরের মাত্রা পেরোতে পারেনি ঢাকার বায়ু।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে গণপরিবহন তো দূরের কথা,দেখা যায়নি জনগণকেও। গাড়ি বলতে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের হাতে গোনা কয়েকটি যানবাহন। কিন্তু এ অবস্থায়ও ঢাকার বায়ুমান সূচক ছিল বিশ্বে সর্বোচ্চ ১৮১ একিউআই। যেখানে পরিবেশ অধিদফতরের মানমাত্রায় স্বাভাবিক বায়ু বলা হয় ৫০ একিউআইকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়ুমান যাচাই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্য বলছে, আজ ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ক্ষতিকর অতি সুক্ষ ধূলিকনা PM2.5 এর উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১১৩.৩ মাইক্রোগ্রাম।
অন্য সময়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ভারতের দিল্লি প্রথমে থাকলেও বর্তমানে সেই শহরটির অবস্থান ৪০ এর ঘরে দেখাচ্ছে সফটওয়ারটি। লকডাউনে থাকা দিল্লির বায়ুমান সুচক রয়েছে ৭৪ একিউআই।
পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান প্রকল্প তাৎক্ষণিক আপডেট দিতে না পারলেও তাদের দেয়া সর্বশেষ তথ্যেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর দেখানো রয়েছে।
বায়ুমান গবেষকরা বলছেন, পুরো ঢাকা নিস্তব্ধ থাকার পরও বায়ুমানের উন্নতি না হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে যে বর্তমানে চালু থাকা উৎসগুলোই সবচেয়ে বড় দূষক। করোনার সুযোগে দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করে আগামীতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, দুষণের অনেক সোর্স বন্ধ হওয়ার পরও এখনো যেহেতু দূষণ কমেনি তাহলে ধরে নিতে হবে এগুলোই আমাদের দূষণের প্রধান দায়ী। পরিবেশ অধিদফতর উদ্যোগী হলে লকডডাউনের এ সময়কে কাজে লাগিয়ে দূষণের উৎস চিহ্নিত করা সম্ভব। এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করি।
দূষণের অনেকগুলো সোর্স বন্ধ হয়েছে ঠিক তবে তারা এতদিন যে দূষণ করেছে তা এখনো বাতাসে ঘুরছে। সড়কের পাশের গাছে জমে থাকা ধুলো এখন বাতাসে উড়ছে। এগুলো পরিস্কার হয়ে গেলে আরো উন্নতি হবে বলেও মন্তব্য তাঁর।