গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য তার একান্ত সচিব পুলিশের আইজিপি বরাবর আবেদন করলেও এ বিষয়ে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের আইজিপির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিরাপদ দূরত্ব রক্ষার নির্দেশনা মেনেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের প্রস্তুতির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, সরকার বলছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে, অন্যদিকে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম বলছে, আগামী দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। মৃত্যু হানা দিচ্ছে দেশে দেশে। আর করোনা যদি এখনই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। ইতোমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকরা দলে দলে ঢাকা ছাড়ছেন।
তিনি বলেন, সরকারের নীতির কারণেই দেশের করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র ফুটে উঠছে না। ভেতরে ভেতরে সংক্রমণ হতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মারা গেছেন কয়েকজন। আর সরকারি হিসেবে মারা গেছেন একজন। এক্ষেত্রে পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইনকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রিজভী বলেন, তথ্য গোপন করে এই মহামারী এড়ানো যাবে না। সঠিক তথ্য দিয়ে এই রোগের ভয়াবহতা বুঝিয়ে জনগণকে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ, সুরক্ষা ও প্রতিকারে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিয়ে মানুষের আস্থা তৈরি করা উচিত। সরকারের তথ্য গোপন পলিসির সমালোচনা করার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত কয়েকদিনে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী ও চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি।