সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যেই শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পাবেন। একজন ভাতাভোগীও যাতে বাদ না পড়ে সেই লক্ষ্যে করোনাকালীন চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও ভাতা কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন ও মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৩ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডে তার সরকারি বাসভবনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বাস্তবায়িত ক্যাশ ট্রান্সফার মডার্নাইজেশন (সিটিএম) প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের সমাজসেবা কার্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খুরশীদ আলম চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে গেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহকে শতভাগ ডিজিটালকরণের কাজ চলমান রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৬৩৪টি সমাজসেবা কার্যালয়ে আধুনিক কম্পিউটার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে সেবা প্রদান আরও গতিশীল হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণের যে নির্দেশনা দিয়েছেন যে কোনো মূল্যে তা চলতি অর্থবছরের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো ভুয়া বা দ্বৈত ভাতাভোগী যাতে ভাতা না পান সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।