নিজস্ব প্রতিনিধি :  গাজীপুরে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক রুহুন নেছাকে ৭ দিনের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা যুব মহিলা লীগের নেত্রী শিল্পী আক্তার। গত ২ই জুলাই ২০২১ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকার সময় হোসেন মার্কেট লেদু মোল্লা রোডে শিল্পী আক্তারের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পী আক্তার বলেন, অত্যান্ত দুঃখ নিয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে হবে ভাবিনী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের গাজীপুর মহানগর কমিটির দুই কর্ণধর রুহুন নেসা রুনা (আহবায়ক) ও আনোয়ারা সরকার অনু (যুগ্ম আহবায়ক) আপার নির্দেশনায় দীর্ঘদিন বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছি। যুব মহিলা লীগের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে নিজেকেও বিভিন্ন ঝামেলার সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে। আমার বিপদে উনারা পাশে থেকে আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। গত ১লা জানুয়ারি আমার কাছ থেকে গোপনে সিনিয়রদের দেওয়ার কথা বলে নগদ ১লক্ষ টাকা নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার সভাপতি সুলতানা সোভা ও সাধারণ সম্পাদক শিল্পী আক্তার মর্মে কমিটির কাগজ হাতে তুলে দেন। উনারা কমিটির বিষয়টি প্রকাশ করতে না করায় বিষয়টি গোপন রাখি। কিছু দিন যেতে না যেতেই ১৩ই জানুয়ারি আহবায়ক রুহুন নেছার ফেইজবুকে পোষ্ট দেন টঙ্গী পূর্ব থানার কোন কমিটি দেওয়া হয় নাই, যদি কেউ কমিটি প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথচ আজ কষ্ট নিয়ে বলতে হয় এর পরে আমার কাছ থেকে আরো পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা নেওয়ার জন্যই উনারা ফেইজবুকে পোষ্ট করার কৌশল অবলম্বন করেন। বহু অপেক্ষার পর টাকা না দিতে পারায় আমাকে বহিষ্কারের ঘোষনা দেয়। আমাকে দেওয়া কমিটি অবৈধ বানোয়াট বলে আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। নিজ সম্মান রক্ষায় আজ বলতে হচ্ছে আপনারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রমাণ করবেন আমি কোন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত। আর আমাকে যে কমিটি আপনারা দিয়েছেন তার সকল প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমি এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় শিল্পী আক্তার সাংবাদিকদের নিজ মুঠোফোনে মহানগর নেত্রীদের সাথে মেসেঞ্জেরে লিখিত এসএমএসের মাধ্যমে কমিটির বিষয়ে যে কথোপকথােন হয়েছে তা দেখান।
এবিষয়ে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক রুহুন নেছা বলেন, শিল্পী আক্তার যদি যুব মহিলা লীগের কোন নেত্রী হতো তাহলে আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জবাব দিতাম। যেহেতু আমাদের সাথে থেকে বিভিন্ন সময় প্রোগামে অংশগ্রহন করেছে তার কোন পোষ্ট পদবী নেই।
এবিষয়ে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারা সরকার বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট।