খুলনায় যাবেন মো. মাসুদ নামের আরেক যাত্রী। তিনি জানান, ‘ঈদের আগে যাত্রীর প্রচুর চাপ থাকে। এই সময় গ্রামে যাওয়া অনেক কষ্টের। মূলত এই কারণেই আগে যাইনি। আজ একটু আরামে যাব।’
ছোট বাচ্চা ও নানিকে নিয়ে যশোর যাবেন সালমা রহমান। তিনি জানান, ‘আগে টিকিট পাইনি। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চা নিয়ে টিকিট ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। তাই গতকাল যাইনি। আজকে টিকিট পেয়েছি। একটু পর বাস ছাড়বে।’
গতকাল বাস না পেয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন। এমন একজন অনিক গাইন। তিনি বলেন, ‘গতকাল বাসে সিট পাইনি। তাই ফিরে গেছিলাম। আজকে যাব বলে এসেছি।’
ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-বরগুনা-পটুয়াখালী-আমতলী-খেপুপাড়া-কুয়াকাটা লাইনে চলে গোল্ডেন লাইন। এর কাউন্টার মাস্টার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঈদের দিনও মানুষ গ্রামে যাচ্ছে। তবে সংখ্যায় কম। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৮টি গাড়ি ছেড়েছে। আরও যাবে। বিকেলের দিকে আবার যাত্রী ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
মিজানুর রহমান বলেন, পরশু থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। মানুষের হাতে টাকাপয়সা কম। তাই অন্যান্য বারের চেয়ে হয়তো বিকেলে এবার একটু কম যাবে।