বিনোদন ডেস্কঃ প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের প্রধান সহযোগী সোহেল শাহরিয়ারকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় তার আস্তানা হাবিব উল্লাহ বাহার কলেজে রেড দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খবর আচ করতে পেরে সেখান থেকে শটকে পড়ে সোহেল শাহরিয়ার। এর আগে গত বুধবার রাতে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের তিনি তার অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সোহেল শাহরিয়ারসহ কয়েকজন সহযোগীর তথ্য দেন। এরপর র্যাব ওই সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানিয়েছে, সোহেল শাহরিয়ার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হলেও রাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে বিভিন্ন নায়ক, নায়িকা, উঠতি মডেলদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহমেদ মানিকের সহযোগী সোহেল ফিল্ম ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, ওই কমিটির পরিচালক রাজ। রাজনৈতিক অঙ্গন ও আন্ডারওয়ার্ল্ডে সোহেল ‘শটগান সোহেল’ নামে পরিচিত। তিনি কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি।
জানা গেছে, সোহেল দীর্ঘদিন কানাডায় ছিলেন। তিনি সেখানকার গ্রীন কার্ডধারী। রাজের অবৈধ অর্থ সোহেলের মাধ্যমে কানাডায় পাচার হয়েছে। সোহেলের সঙ্গে রাজসহ বিভিন্ন নায়ক-নায়িকার ঘনিষ্ঠতার ছবিও হাতে পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তাদের কাছে তথ্য আছে, ফিল্ম জগতে সোহেল খুবই পরিচিত। বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। উঠতি মডেলদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে তিনি। এসব কাজে সোহেল একাধিক হত্যা মামলার আসামি আলী রেজা রানাসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে ব্যবহার করতেন।
সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আটকের পর আওয়ামী লীগের ভূঁইফোঁড় সংগঠন আলোচনায় আছে। সোহেল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের কেন্দ্লীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়েও তিনি বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেন।