নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে ৬৪ লাখ যুবককে বিভিন্ন ট্রেডে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ যুব আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে যুব উন্নয়ন অধিদফতর কর্তৃক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘খাদ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন: মানবজাতি ও বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য যুবদের উদ্ভাবন’।
দেশের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত নানা কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষিত যুবদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে বিনা জামানতে ২১ বিলিয়ন টাকা প্রদান করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ধাপে ধাপে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে ।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ এমডিজির ন্যায় ২০৩০ সালের মধ্যে যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে সমর্থ হবে।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সম্ভাবনাময় যুবসমাজ যুগ যুগ ধরে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তাই এসডিজি বা টেকসই অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও কোভিড-১৯ সংক্রমণ উত্তরণসহ বিশ্বস্বাস্থ্য সংরক্ষণে যুবদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী দেশের যুবসম্প্রদায়কে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে আগামীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান ।
যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং ইউএনএফপিএ, বাংলাদেশ-এর রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. আসা টরকেলসন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদফতর দেশব্যাপী আলোচনা সভা, যুব সংগঠনের নিবন্ধন সনদ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ’ ১২ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ১২ আগস্ট জাতিসংঘের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়ে থাকে।