খেলাধুলা ডেস্কঃ ইউরোপে বার্সেলোনার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না বেশ কয়েক বছর ধরেই। গত বছর পিএসজির কাছে হার। তার আগের বছর বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮ গোল হজম। তার আগের বছর লিভারপুলের মাঠে গিয়ে ৩ গোলের লিড হারানো, রোমার মাঠেও একই পরিণতি হয়েছিল ২০১৮ সালে। তবু সেসব ছিল নক আউট পর্বের ম্যাচ। এবার যে বার্সার গ্রুপ পর্ব পেরোনোই মহা সংশয়ে। আজ বুধবার দিবাগত রাতে (২টা) বায়ার্নের মাঠে গিয়ে বায়ার্নকে হারাতে না পারলে আর ওদিকে বেনফিকা জিতে গেলে কাতালানদের বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে গত দুই দশকে বার্সা পড়েনি।
সর্বশেষ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা ২০০০ সালে। আজ জাভির বার্সা কী করে, সেটাই এখন দেখার। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবই মনে হচ্ছে কাজটা। বেনফিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা ছিল ঘরের মাঠে, সেটাতে জিতলেই তো আজ এই অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে হয় না জাভির দলকে। ঘরের মাঠে বেনফিকাকে হারাতে না পারা দলটি তবে কী করে আজ বায়ার্নকে তাদের মাঠে হারিয়ে আসবে! আর এ তো সেই বায়ার্ন, এক মৌসুম আগেই ৮ গোলের দুর্বিষহ এক রাত উপহার দিয়েছিল যারা বার্সেলোনাকে। কাতালানদের মানসিক সেই ক্ষত এখনো জুড়ানোর কথা নয়। এই মৌসুমেই ক্যাম্প ন্যুতে এসে তাদের ৩-০ গোলে হারিয়ে গেছে বাভারিয়ানরা। আর এখন জার্মানিতে গিয়ে তাদের হারানোটা আবার ‘অলৌকিক’ কিছু হলেই কেবল সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকে। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আজকের ম্যাচটি অবশ্য হবে দর্শকশূন্য মাঠে। নতুন করে কভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। সেটি এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে বার্সেলোনাকে কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন জাভি। লিগের শেষ ম্যাচটায় রিয়াল বেতিসের কাছে হারের পর বলছিলেন, ‘আশা করি, এই হারটা আমাদের সেই ম্যাচে প্রভাব ফেলবে না। কারণ সেদিন (বুধবার) আমাদের পশুর মতো খেলতে হবে।’
এ ম্যাচে আজ ড্র করলেও বাদ পড়ে যেতে পারে বার্সা। এই মুহূর্তে বার্সার পয়েন্ট ৭, বেনফিকার ৫। ঘরের মাঠে বেনফিকা তখন ডায়নামো কিয়েভকে হারালে দুই দলেরই পয়েন্ট হবে ৮। তখন হেড টু হেডে বেনফিকাই চলে যাবে শেষ ষোলোতে। তবে আজ বেনফিকা পয়েন্ট হারালে সব কিছুই আবার সহজ। তখন হারলেও নক আউটে যেতে পারবে বার্সা। কিন্তু টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া কিয়েভের বিপক্ষে বেনফিকা কি সুযোগ নষ্ট করবে ঘরের মাঠে।