">
ব্যাপারটা বুঝতে ও হজম করতে ইসরায়েলি নেতা, সামরিক কর্তা, গণমাধ্যম এবং সমাজের সময় লাগবে। কিন্তু এখন নেতানিয়াহু মরিয়া হয়ে দেখাতে চাইবেন– ইসরায়েল এখনও শক্তিমান রাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক শক্তি এবং তাদের রয়েছে বহুলবন্দিত এক ‘অপরাজেয়’ সেনাবাহিনী। কিন্তু তাঁর পক্ষে সেটা করে দেখানো প্রায় অসম্ভব।স্পষ্টতই হামাস এবং পরে যোগ দেওয়া ইসলামিক জিহাদের লক্ষ্য ছিল যতটা সম্ভব ইসরায়েলি সেনা ও বসতকার (সেটেলার) আটক করা। সেটা করা মানে নতুন এক প্রতিরক্ষা দেয়াল খাড়া করা, যাতে ইসরায়েলি হামলা কমানো এবং একটা পর্যায়ে ইসরায়েলকে আপসে বাধ্য করা যায়। কিন্তু ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের এই চাওয়া পূরণ করা অপদস্থ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য অনেক কঠিন।আল কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ থেকে শুরু করে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ এবং পরে ইসলামিক জিহাদের জিয়াদ আল-নাখালাহর বিবৃতি বোঝাচ্ছে, ফিলিস্তিনের দাবি খুবই পরিষ্কার ও স্পষ্ট: সব বন্দির মুক্তি; জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি পবিত্র স্থানের শুচিতা রক্ষা, গাজা অবরোধের অবসান এবং আরও কিছু।এসব দাবিকে যৌক্তিক মনে করা উচিত হলেও নেতানিয়াহু এবং তাঁর চরম ডানপন্থি সরকারের পক্ষে তা মেটানো প্রায় অসম্ভব। যদি তিনি রাজি হন, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সরকারের পতন ঘটবে এবং ইসরায়েলি রাজনীতি আরেকপাক বিপর্যস্ত হবে। হয় এভাবে, নয় অন্যভাবে; দৃশ্যত পতন আসন্ন।উগ্রপন্থি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যিনি আল আকসায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন, সেই ইতামার বেন-ভির মোটামুটি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে লাপাত্তা। এটা একটা ভালো ঘটনা। যেসব কুখ্যাত লোক আল আকসা মসজিদে, জেরুজালেমের নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর এবং ইসরায়েলের বহু কারাগারে বর্বর আচরণ করেছে, তারা এখন কোণঠাসা। এটা অবশ্যই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটা অর্জন।ইসরায়েলে নতুন কোয়ালিশন সরকার নেতানিয়াহুর জন্য আরও ঝামেলাই তৈরি করবে। মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হবু মন্ত্রীরা চাইবেন যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে নেতানিয়াহু যেন হামাসের চিরঅবসানের অঙ্গীকারও করেন।
তারা বলছেন, সত্যিকার গাজা যুদ্ধ এবারই প্রথম। তারা চান এটাই হোক গাজাবাসীরও শেষ যুদ্ধ। বিমান হামলা ও বোমা বর্ষণ করে নিরীহ গাজাবাসীদের হত্যা করতেই পারেন নেতানিয়াহু। যেমনটা তিনি এবং তাঁর সেনারা আগেও করেছেন। কিন্তু হামাস বা অন্য কোনো গ্রুপকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা নিজেদের ইসরায়েলি নিশানায় না ফেলার বিষয়ে সজাগ। সম্পূর্ণ গোপনভাবেই চলে তাদের অপারেশন। তার মানে, প্রতিরোধ ধ্বংস করতে হলে গাজায় ব্যাপক স্থলাভিযান চালাতে হবে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা কিন্তু এসব আশঙ্কা হিসাব করেই নেমেছে। গাজায় সেনা অভিযান মানে নিশ্চিতভাবে হাজারো ইসরায়েলির মৃত্যু। পাশাপাশি কচুকাটা হবে হাজারো ফিলিস্তিনি জীবন।তা ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা প্রমাণিতভাবে স্থলযুদ্ধে কাঁচা। সাম্প্রতিক সময়ে এটা দেখিয়ে দিয়েছে হামাস। এর আগে ২০০০ ও ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ তা বুঝিয়ে দিয়েছে লেবাননে।কিন্তু ধরে নিলাম, ইসরায়েল স্থলাভিযানে সমর্থ– কী করবে তারা গাজা দখলের পর? ২০০৫ সালে তীব্র প্রতিরোধের চাপে তারা গাজা থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। পালিয়ে গিয়ে সব দিক থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে তারা। সেখান থেকেই শুরু এখন পর্যন্ত চলমান সেই কুখ্যাত অবরোধের। সে সময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা এখনকার চেয়েও দুর্বল ছিল; ছিল কম সংগঠিত এবং এখনকার চেয়ে কম সশস্ত্র।ইসরায়েল যদি আবারও গাজার দখল নেয়, প্রতিদিনই তাদের সেই একই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলা করে যেতে হবে।কোন পথে যাবেন নেতানিয়াহু– তা এখনও পরিষ্কার নয়। কিন্তু যে পথেই তিনি যান, সামনের দিনে যা-ই ঘটুক না কেন, ইসরায়েল বহুদিক থেকেই যুদ্ধে হেরে গেছে। বাকিটা দেখা যাক।
বিশেষ প্রতিনিধি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রায়ই দেমাগ দেখিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ‘নিরাপত্তা’র প্রতি সব হুমকি মোকাবিলা ও নির্মূল করায় সর্বদাই প্রস্তুত তাঁর সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীও প্রচার চালায়, গাজা থেকে পশ্চিম তীর; লেবানন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত সব ফ্রন্টে সব হুমকি সামলাতে তারা সক্ষম। কিন্তু ফিলিস্তিনি সময় শনিবার সকাল ঠিক ৬টায় হামাস তাদেরকে বাজেভাবে ভুল প্রমাণ করল। বাস্তবে নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর সেনারা ইসরায়েলের ভেতরে একা একা যুদ্ধ করা কোনো ফিলিস্তিনি গ্রুপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
ব্যাপারটা বুঝতে ও হজম করতে ইসরায়েলি নেতা, সামরিক কর্তা, গণমাধ্যম এবং সমাজের সময় লাগবে। কিন্তু এখন নেতানিয়াহু মরিয়া হয়ে দেখাতে চাইবেন– ইসরায়েল এখনও শক্তিমান রাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক শক্তি এবং তাদের রয়েছে বহুলবন্দিত এক ‘অপরাজেয়’ সেনাবাহিনী। কিন্তু তাঁর পক্ষে সেটা করে দেখানো প্রায় অসম্ভব।স্পষ্টতই হামাস এবং পরে যোগ দেওয়া ইসলামিক জিহাদের লক্ষ্য ছিল যতটা সম্ভব ইসরায়েলি সেনা ও বসতকার (সেটেলার) আটক করা। সেটা করা মানে নতুন এক প্রতিরক্ষা দেয়াল খাড়া করা, যাতে ইসরায়েলি হামলা কমানো এবং একটা পর্যায়ে ইসরায়েলকে আপসে বাধ্য করা যায়। কিন্তু ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের এই চাওয়া পূরণ করা অপদস্থ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য অনেক কঠিন।আল কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ থেকে শুরু করে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ এবং পরে ইসলামিক জিহাদের জিয়াদ আল-নাখালাহর বিবৃতি বোঝাচ্ছে, ফিলিস্তিনের দাবি খুবই পরিষ্কার ও স্পষ্ট: সব বন্দির মুক্তি; জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি পবিত্র স্থানের শুচিতা রক্ষা, গাজা অবরোধের অবসান এবং আরও কিছু।এসব দাবিকে যৌক্তিক মনে করা উচিত হলেও নেতানিয়াহু এবং তাঁর চরম ডানপন্থি সরকারের পক্ষে তা মেটানো প্রায় অসম্ভব। যদি তিনি রাজি হন, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সরকারের পতন ঘটবে এবং ইসরায়েলি রাজনীতি আরেকপাক বিপর্যস্ত হবে। হয় এভাবে, নয় অন্যভাবে; দৃশ্যত পতন আসন্ন।উগ্রপন্থি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যিনি আল আকসায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন, সেই ইতামার বেন-ভির মোটামুটি রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে লাপাত্তা। এটা একটা ভালো ঘটনা। যেসব কুখ্যাত লোক আল আকসা মসজিদে, জেরুজালেমের নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর এবং ইসরায়েলের বহু কারাগারে বর্বর আচরণ করেছে, তারা এখন কোণঠাসা। এটা অবশ্যই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটা অর্জন।ইসরায়েলে নতুন কোয়ালিশন সরকার নেতানিয়াহুর জন্য আরও ঝামেলাই তৈরি করবে। মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হবু মন্ত্রীরা চাইবেন যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে নেতানিয়াহু যেন হামাসের চিরঅবসানের অঙ্গীকারও করেন।
তারা বলছেন, সত্যিকার গাজা যুদ্ধ এবারই প্রথম। তারা চান এটাই হোক গাজাবাসীরও শেষ যুদ্ধ। বিমান হামলা ও বোমা বর্ষণ করে নিরীহ গাজাবাসীদের হত্যা করতেই পারেন নেতানিয়াহু। যেমনটা তিনি এবং তাঁর সেনারা আগেও করেছেন। কিন্তু হামাস বা অন্য কোনো গ্রুপকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা নিজেদের ইসরায়েলি নিশানায় না ফেলার বিষয়ে সজাগ। সম্পূর্ণ গোপনভাবেই চলে তাদের অপারেশন। তার মানে, প্রতিরোধ ধ্বংস করতে হলে গাজায় ব্যাপক স্থলাভিযান চালাতে হবে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা কিন্তু এসব আশঙ্কা হিসাব করেই নেমেছে। গাজায় সেনা অভিযান মানে নিশ্চিতভাবে হাজারো ইসরায়েলির মৃত্যু। পাশাপাশি কচুকাটা হবে হাজারো ফিলিস্তিনি জীবন।তা ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা প্রমাণিতভাবে স্থলযুদ্ধে কাঁচা। সাম্প্রতিক সময়ে এটা দেখিয়ে দিয়েছে হামাস। এর আগে ২০০০ ও ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ তা বুঝিয়ে দিয়েছে লেবাননে।কিন্তু ধরে নিলাম, ইসরায়েল স্থলাভিযানে সমর্থ– কী করবে তারা গাজা দখলের পর? ২০০৫ সালে তীব্র প্রতিরোধের চাপে তারা গাজা থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। পালিয়ে গিয়ে সব দিক থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে তারা। সেখান থেকেই শুরু এখন পর্যন্ত চলমান সেই কুখ্যাত অবরোধের। সে সময় প্রতিরোধ যোদ্ধারা এখনকার চেয়েও দুর্বল ছিল; ছিল কম সংগঠিত এবং এখনকার চেয়ে কম সশস্ত্র।ইসরায়েল যদি আবারও গাজার দখল নেয়, প্রতিদিনই তাদের সেই একই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলা করে যেতে হবে।কোন পথে যাবেন নেতানিয়াহু– তা এখনও পরিষ্কার নয়। কিন্তু যে পথেই তিনি যান, সামনের দিনে যা-ই ঘটুক না কেন, ইসরায়েল বহুদিক থেকেই যুদ্ধে হেরে গেছে। বাকিটা দেখা যাক।
Leave a Reply