খেলাধুলা ডেস্ক ওয়ানডে সিরিজে জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার, টেস্টে ভরাডুবি। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজেই বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। ব্যাটিং ব্যর্থতায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি শান্তর দল। টাইগারদের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে ভক্ত সমর্থকরা হতাশ তো বতেই, হতাশ হয়েছে বিসিবি কর্তারাও। তাই লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে ঈদের পর বিসিবি পর্যালোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঈদের পর ব্যর্থতার ব্যর্থতার কারণ খোঁজার কথা জানিয়েছেন বিসিবির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশন্স আমরা সবাই বসব। আমরা রিভিউ করব।জালাল আরও যোগ করেন, ‘আমাদের যে রিসোর্স আছে তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমাদের প্লেয়ার তারাই খেলছে এখানে। হ্যাঁ, জাতীয় দলের প্লেয়ারদের সাথে বাকিদের একটা তফাত থাকে। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলানোর। আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে।’
জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল কি না। এই প্রশ্নের জবাবে জালাল বলেন, ‘প্রস্তুতি বলতে কী বুঝাচ্ছেন। প্রস্তুতির জন্য জাতীয় লিগ ছাড়া সুযোগ নাই, কারণ সিরিজের পর সিরিজ হতে থাকে। আপনি দেখেন কোন প্লেয়ার সময় পায় বেশি টেস্ট খেলার? এই সুযোগটা নাই। সিরিজ হলে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি থাকে। জাতীয় দলের প্লেয়ার হিসেবে এডজাস্ট করেই খেলতে হবে। বেশি করে টেস্ট খেলতে পারলে তো ভালোই হত। কিন্তু সেই সুযোগটা হয় না।ম্যাচ হারা নিয়ে আপত্তি নেই জালাল ইউনুসের, তবে আপত্তি ম্যাচ হারার ধরণে। তিনি বলেন, ‘আসলে ম্যাচ তো হারতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। যেটা সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, যদি ওরা (শ্রীলঙ্কা) ৫০০ রান করতে পারে, তাহলে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? ৪০০+ করতে পারলাম না কেন? এখানে বড় একটা আক্ষেপ আছে। ঘরের মাঠ।’