• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Отзыв о Pinup Wager в мае 2024 года Where To Find Iranian Wives অভয়নগরে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি অভয়নগরে ছাত্র ছাত্রী প্রদর্শনী ক্লাস সবক ও পাগড়ি প্রদান Plinko 2024: Guía para juegos Plinko gratuitos Vietnamese Vs. Thai Mail Order Brides: A Comparative Analysis যশোরের বায়েজীদ হাসান হত্যা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে ঢাকা ভাটারা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-১ গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সবুজ’কে পটুয়াখালী হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬ Mostbet App Download For Android Apk And Ios 2023 Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর

‘পুলিশ পাশে আছে সাধারণের, এতেই ভরসা’

বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা মহানগর এলাকার ১০ স্থানে সুপেয় পানির গাড়ি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফেরাতে পানি সরবরাহ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে একদিনে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১০ হাজারের ওপরে মানুষকে পানি পান করানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার আরও পাঁচ থানা নিজ এলাকায় ট্যাংকের মাধ্যমে পথচারীদের পানি পানের ব্যবস্থা করে। 

পল্টন এলাকায় পুলিশের গাড়ি থেকে পানি পান শেষে একটি বোতলে পানি ভরে নিচ্ছিলেন এক রিকশাচালক। কাছে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ মুগদা এলাকায় থাকেন রবিউল মিয়া (৪৭)। ভাড়ার রিকশা নিয়ে সকাল ৮টায় বের হন। দুপুর পর্যন্ত মাত্র দুটি ভাড়া টেনেছেন। তপ্ত রোদে আর পেড়ে উঠছেন না।

তিনি বলেন, দু’টি ভাড়া টেনে যে টাকা আয় করছি, তার অর্ধেক টাকা পানি ও শরবত পানে চলে যেত। কিন্তু আজকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি পানের ব্যবস্থা করায় টাকাটা বেঁচে গেল। সকালে এক লিটারের বোতলে পানি নিয়ে বের হই। কিন্তু সকাল ১০টার আগেই শেষ হয়ে গেছে। তপ্ত রোদে পানি পান করানোর মতো ভালো কাজ আর হতেই পারে না। পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে। তারা গাড়িতে গ্লাসও রেখেছে। এতে কারোর পানি পানে সমস্যাও হচ্ছে না।

এ সময় পানির গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা তৃষ্ণার্ত পপি খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, পুলিশের পানির গাড়ি থামতেই লোকজন ছুটে আসে গাড়ির কাছে। এতে পুরুষদের চাপে সুযোগ পাওয়া যায় না। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে এক পুলিশ সদস্য গ্লাসে করে পানি নিয়ে এসে দেন। তাদের এমন মহৎ কাজ এখন সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে গেছে। এটা ভেবেই ভরসা পাই যে, সাধারণ মানুষের পাশে পুলিশ আছে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় মহানগর এলাকায় তপ্ত রোদে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের পানি পান করানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যরা। তারা বলছেন, পথচারীসহ তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি পান করানোর এই উদ্যোগের কারণে জনসাধারণের মধ্যে মহানগর পুলিশের বিষয়ে খুবই পজিটিভ ভিউ দেখা যাচ্ছে। ঢাকায় অনেক সংস্থা থাকলেও ডিএমপির এই কাজ সবার নজর কেড়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটার ট্যাংকারের মাধ্যমে সুপেয় পানি নিয়ে ডিএমপির গাড়ি বের হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পুলিশ সদস্য, পথচারী, রিকশাচালকসহ গাড়ির চালক ও সাধারণ মানুষকে পানি পান করায়। এর আগে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে গত শনিবার থেকে মহানগরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ জনগণ, পথচারীদের মাঝে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ, যা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

ডিএমপির পানি গাড়ি মতিঝিল গোলচত্বর, পল্টন, গুলিস্তান মাজার, পুরাতন হাইকোর্ট ভবনের সামনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে টিএসসি, নীলক্ষেত মোড়, এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল, ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ড ও কারওয়ান বাজারে অবস্থান করে। এর মধ্যে সরেজমিনে মতিঝিল, পল্টন ও কারওয়ান বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানির গাড়ি থামতেই সাধারণ তৃষ্ণার্ত মানুষ বোতলে পানি নিচ্ছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নারী ও শিশুদের পানি পানে সহায়তা করছেন। এসব পানির গাড়ির পাশে ছাতা ও চেয়ার রাখা হয়েছে। বয়স্ক, নারী ও শিশুরা সেখানে বসে পানি পান করছেন।

এ সময় এমটি ও ওয়ার্কশপ থেকে দু’জন করে চারজন আলাদা পিকআপে সঙ্গে ছিল। প্রতিটি স্থানে গাড়ি এক ঘণ্টা করে অবস্থান নিয়ে নগরবাসীকে পানি সরবরাহ করে। এ কাজ করতে গিয়ে তপ্ত রোদে যাতে পুলিশ সদস্যরা অসুস্থ হয়ে না যান সে জন্য তাদের সঙ্গে ছাতা রাখতে বলা হয়। এছাড়া পানি পান করানোর সময় ছাতা ব্যবহারে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার স্নেহাশিস কুমার দাস বলেন, মোবাইল ওয়াটার ট্যাংকের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যেসব পথচারী বসে খেতে চায় তাদের জন্য চেয়ারও রাখা হয়েছে। পানি পানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.