• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ অন-অনুমোদিত ও ভেজাল ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কোম্পানির প্রাণঘাতী ঔষধে বাজার সয়লাব টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ম্যান সিটির ইতিহাস দিয়াবাতেকে বাংলাদেশ দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু বাফুফের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখছেন কাইফ স্টার স্পোর্টসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রোহিত শর্মা অবশেষে ২০০ টপকে জিতল হায়দরাবাদ ফাঁস হওয়া ছবি নিয়ে যা বললেন পরিচালক নির্বাচন যে খুব সহজ কাজ নয়, সেটি টের পাচ্ছেন কঙ্গনা! প্রচণ্ড গরমেও আমরা মাথা ঠান্ডা রাখি… ২৫ দিন পর বাড়িতে ফিরলেন, কোথায় ছিলেন এই অভিনেতা? শূন্য থেকে বলিউডের শীর্ষে ভোটে জিতলে অভিনয়কে বিদায় জানাবেন কঙ্গনা শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা সরকারি খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি জেলেদের

সংঘর্ষের পর বরিশাল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ

বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দিবাগত রাত থেকে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণসহ দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পূর্বঘোষণা ছাড়াই বরিশালের দুই বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও রূপাতলীতে এলোপাতাড়ি বাস ফেলে রেখে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের যানবাহন চলাচল। এছাড়া বন্ধ রয়েছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় যান চলাচলও।

বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল থেকে কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি।

এর আগে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ব্যানার খোলা কেন্দ্র করে ইউএনওর ওপর হামলার চেষ্টাকালে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে মেয়র নিজেই জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিন পুলিশ ও দুই আনসার সদস্যও রয়েছেন।

বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মোঃ মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টা কেন্দ্র করে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনের বক্তব্য অনুযায়ী, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় কম্পাউন্ডে রাতে ব্যানার খুলতে যায় নগরভবনের কর্মচারীরা। এ সময় বাসভবন থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ড থেকে ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথাকাটাকাটি হয়।

উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনওর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য জানান, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ব্যানার খোলার কথা বলে কম্পাউন্ডে ঢোকা ২৫-৩০ জন ইউএনওর বাসভবনে ঢুকে তাকে ঘিরে ফেলে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আনসারদের সাথে হাতাহাতির একপর্যায়ে হামলা চালানো হলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে ২-৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নগর পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর গুলির খবর শুনে কয়েকশ নেতাকর্মীও জড়ো হন সেখানে। তাদের নিয়ে মেয়র উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে গেলে দ্বিতীয় দফায় ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। গুলির মুখে ভেতরে ঢুকতে না পেরে কমপ্লেক্সের বাইরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নেন মেয়র সাদিক।

দ্বিতীয় দফা এই গুলিবর্ষণেও ২-৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। ছাত্রলীগকর্মীরা এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধসহ একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

উপজেলা কমপ্লেক্সে এসব ঘটনা চলার মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌঁছায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

উপজেলা কমপ্লেক্সে এসব ঘটনা চলার মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌঁছায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। বাস ভাঙচুরসহ সড়ক অবরোধ ঠেকাতে গেলে তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়, সেখানে থাকা ছাত্রলীগ এবং যুবলীগকর্মীদের সঙ্গে। এতে পুলিশসহ আহত হন ৩০ জন। একপর্যায়ে পিছু হটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.