• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ নওয়াপাড়া পৌর মেয়রের সুসজ্জিত নতুন অফিস উদ্বোধন অন-অনুমোদিত ও ভেজাল ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কোম্পানির প্রাণঘাতী ঔষধে বাজার সয়লাব টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ম্যান সিটির ইতিহাস দিয়াবাতেকে বাংলাদেশ দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু বাফুফের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখছেন কাইফ স্টার স্পোর্টসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রোহিত শর্মা অবশেষে ২০০ টপকে জিতল হায়দরাবাদ ফাঁস হওয়া ছবি নিয়ে যা বললেন পরিচালক নির্বাচন যে খুব সহজ কাজ নয়, সেটি টের পাচ্ছেন কঙ্গনা! প্রচণ্ড গরমেও আমরা মাথা ঠান্ডা রাখি… ২৫ দিন পর বাড়িতে ফিরলেন, কোথায় ছিলেন এই অভিনেতা? শূন্য থেকে বলিউডের শীর্ষে ভোটে জিতলে অভিনয়কে বিদায় জানাবেন কঙ্গনা শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা

নতুন আতঙ্ক ডেঙ্গু নাগরিকদেরও দায়বদ্ধতা আছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত জনজীবনে নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজধানীতে ডেঙ্গুর জন্য নির্ধারিত পাঁচটি হাসপাতালের মধ্যে শুধু মিটফোর্ড হাসপাতালেই বর্তমানে নির্ধারিত শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগী দ্বিগুণেরও বেশি। রোগী বেশি হওয়ায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গত সোমবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো ২৩৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার ২১৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ২০ জন। এ ছাড়া এ বছরের শুরু থেকে গত সোমবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ৪২ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে এক হাজার ১৫০ জন।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) গত রবিবার ডেঙ্গু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, ঢাকায় ডেঙ্গু ভাইরাসের ‘ডেনভি-৩’ ধরনে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হচ্ছে। দেশে এই ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। যারা আগে ডেনভি-১, ২-এ আক্রান্ত হয়েছে, তারা নতুন করে ডেনভি-৩-এ আক্রান্ত হলে সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে ও জুন মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তখনই সতর্ক করেছিলেন। ওই সময় এডিসের প্রচুর কনটেইনারও পাওয়া যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকার ফলে মশার প্রজনন বেড়ে যায়। ডাবের খোসা, পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগ, ক্যানসহ অনেক পাত্র এখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। পরিত্যক্ত এসব পাত্রে পানি জমে থাকার ফলে ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা সহজেই বংশ বিস্তার করতে পারে। এ ছাড়া রাজধানীর অনেক বাড়িতে এখন শখের বশে বাগান করা হয়। অনেকে টবে ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকে। এসব পাত্রে পানি জমে থাকলে সেখানেও এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারে।

এডিস মশা প্রতিরোধের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাসাবাড়িতে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ফুলের টব, পানির চৌবাচ্চা, নিচু জায়গা, গ্যারেজে গাড়ির টায়ার ইত্যাদিতে যেন কোনোভাবেই পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের একটু সতর্কতা বড় ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। আসুন, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.